1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ন

বাংলাদেশকে জানার জন্যে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে -গোপালগঞ্জে দীপু মনি

Reporter Name
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪৩২ জন নিউজটি পড়েছেন।

জেলা প্রতিনিধি,  গোপালগঞ্জঃ

শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে বাংলাদেশকে জানার জন্যে, আমাদের নিজেদের ইতিহাসকে ও আমাদের সংগ্রামের অর্জনের ইতিহাসকে জানার জন্যে। তাই বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে লেখা তিনটি বই“অসমাপ্ত আত্মজীবনী,কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন”  “আমাদের বই পড়া কর্মসূচিতে” অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এসব বইয়ের মধ্য থেকে কিছু অংশ আমরা পাঠ্য পুস্তকেও অন্তর্ভূক্ত করেছি। একই ভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বঙ্গমাতার জীবন আমরা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্ত করেছি। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসায় ও কারিগারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বই গুলোর উপর ভিক্তি করে বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা শুরু হয়েছে।  যাতে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে।

মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার বিকেলে গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে সুইমিংপুল ও জিমনেসিয়ামে আয়োজিত আঞ্চলিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে সব সময় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমরা এ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারবো। আমরা অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক ভাল অবস্থানে আছি। আগামিতেও আমরা যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবো, তাহলে খুব বেশি আশংকার কিছু থাকবে না। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খুনি মোস্তাকের হাত ধরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ এর ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলো। সেই ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার” এ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে “বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্যের” স্বীকৃতি লাভ করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিলো।মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করে যুদ্ধাপরাধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলো। সেই অপরাধীরা ৭১, ৭৫, ২০০৪, ২০১৩ ও ২০১৪-তে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে।

দীপু মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আবার বাংলাদেশকে ফিরেয়ে এনেছেন। ইতিহাসের সত্যকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছে। আজকে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব অগ্রযাত্রা তা শেখ হাসিনার হাত ধরেই এসেছে। অনেক শক্তিশালী দেশের রক্তচক্ষু উপক্ষো করে বিদেশী সাহায্য ছাড়া তৈরী হয়েছে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল। তাই সব বাঁধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ডাঃ দীপু মনি আঞ্চলিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও আগত অতিথিদের শপথ বাক্যপাঠ করান। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও পরে থিমসং পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, মুক্তিযোদ্ধা সিকদার নূর মোহাম্মদ দুলু, মোঃ ফিরোজ খান ও বদরুদ্দোজা বদর বক্তব্য রাখেন। পরে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন।

এর আগে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সরকারি উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকহানাদার মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ। এখানে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় ২৭ মার্চ থেকেই। মুসলিম লীগ নেতাদের সহযোগিতায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ৩০ এপ্রিল শহরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমেই শহরের ব্যাংকপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর বাড়ি (বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়)পুড়িয়ে দেয়। এরপর পাকিস্তানী সৈন্যরা ১০ থেকে ১২টি দলে বিভক্ত হয়ে শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ির অবস্থান জেনে স্বর্ণপট্রি, সাহাপাড়া, সিকদারপাড়া, চৌরঙ্গী এবং বাজার রোড এলাকায় লুটপাট করে। পরে আগুন দিয়ে প্রায় এক হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। যুদ্ধকালিন সময়ে পাকসেনারা হত্যা আর নারী ধর্ষন  করে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদাররা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে মিনি ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করে। সেখানে এলাকার সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে হত্যা করে গণ-কবর দেয়। ৬ ডিসেম্বর সূর্য উঠার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে বিভক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের দিকে আসতে থাকে। চারিদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন বলয় রচিত ও মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত লগ্নে মিত্র দেশ ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দেয়ায় এখানকার পাক হানাদার বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে পড়ে।

পাক সেনারা ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানা উপজেলা পরিষদ (বর্তমানে) সংলগ্ন জয় বাংলা পুকুর পাড়ের মিনি ক্যান্টমেন্ট ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৭ ডিসেম্বর ভোরে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করে গোপালগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা। আর সেই সাথে মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ শহর ও এর আশপাশ এলাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION