মেজবা রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের শিক্ষক এইচএম আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি কৃষি বিভাগের সাবেক সভাপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার ইংরেজি বিভাগের সভাপতি মো: আশিকুজ্জামান ভুঁইয়াকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারী একাধিক পত্রিকায় ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নবধারা সহ একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
আরো পড়ুনঃ
সংবাদ প্রকাশের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঐ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।পরে তারা ঐ শিক্ষকের অব্যাহতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান। এছাড়াও একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ১ দিন পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মীরা সমগ্র ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী মিছিল করে। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৫ জানুয়ারি ঐ শিক্ষককে কৃষি বিভাগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বর্তমানে কৃষি অনুষদের চলমান ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মোজাহার আলী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
আরো পড়ুনঃ
ইতিমধ্যে ঐ বিভাগীয় সভাপতির নানা অনৈতিক ও অসঙ্গতিপূর্ণ কাজে শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা বেশিরভাগই পরীক্ষার ফলাফল ও সার্টিফিকেটের জন্য বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তার ভয়ে জিম্মি থাকা শিক্ষার্থীদের মুখ খুলতে চান না অনেকেই। তাদের দাবি, তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি কথা বলতে গেলে আমাদের উপরে নানা চাপ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান আশিকুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে আমার কাছে নোটিশ এসেছে । আশাকরি দ্রুত কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে আলোচনা করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোরাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের যথাযথ অধিকার আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে ঐ বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। শিক্ষক হিসেবে ঐ বিভাগে যোগদানের আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে প্রভাবশালী মহলের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ রয়েছে। তবে এক ছাত্রীর সাথে তার আপত্তিকর ফোনালাপকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে উঠে আসে একের পর এক অভিযোগ ।