ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে বাংলাদেশে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ। আবহাওয়া অফিস বলছে, বাংলাদেশে এর কতটা প্রভাব পড়বে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুর পর্যন্ত।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফরিদপুর সহ কয়েকটা জেলাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনি ধীরে ধীরে আরও শক্তি সঞ্চয় করেছে। বেড়েছে বাতাসের গতিবেগও। ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি., যা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১৭ কি.মি. পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকাতে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
আগামী তিন দিন দেশের দক্ষিণাঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টিপাতের ফলে উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীর পানি এক থেকে দুই ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানায়, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে দেশের কিছু স্থানে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বরিশাল জেলায় সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হচ্ছে। আগামী তিন দিন টানা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীর পানিও দুই ফুট বাড়তে পারে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় অশনি ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ভারতের ওডিশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত করতে পারে। এরপর এটি ওডিশার দিকে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের বড় কোনো প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে না।