ঘনকুয়াশার সাথে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর দুমকিসহ দক্ষিনের মানুষ। গত কয়েকদিন বেলা ১১টায় সূর্যালোকের দেখা মিললেও তাপের উষ্ণতা কম থাকায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। রাত ৮টার পর থেকে ভোর ৭টা পর্যন্ত বগা ফেরী পারাপার বন্ধ রাখতে হয়েছে। শীতে কাবু হয়ে গেছে শহর, বন্দরসহ প্রত্যন্ত এলাকার সাধারন মানুষ।
বিশেষত: উপকূলীয় চরাঞ্চলের ছিন্নমূল পরিবারগুলোতে শীত কস্টে পড়েছে বৃদ্ধ-শিশুসহ সর্বোস্তরের মানুষ। উপজেলার লেবুখালী ও কদমতলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের শীতার্থ অসহায় পরিবারগুলোর অবর্ণনীয় শীত কস্ট ভোগ করতে দেখা গেছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দুমকি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ৫শ’পিস কম্বল প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষথেকেও সমসংখ্যেক শীতার্ত পরিবারকে কম্বল পদান করা হয়েছে।
পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এডভোকেট নজরুল ইসলাম গাজী বলেন আমার ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে শীতে কাবু হওয়া ব্যক্তিদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছি ও শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম সালাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের দেয়া কম্বলগুলো তার ইউনিয়নের শীতার্ত গরিবদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চাহিদার সিকিভাগও বরাদ্দ দেয়া হয়নি।