যশোর প্রতিনিধি
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত এক অসহায় মা ও মেয়ের চাল আত্মসাত করে আসছিলেন নয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী। অবশেষে তিনি ধরা খেয়েছেন। স্থানীয় জনতার ধাওয়া খেয়ে শেষমেষ পালিয়েছেন।
জানা গেছে, মেম্বার লিয়াকত আলী সামটা গ্রামের গোলাম হোসেন গোপালের স্ত্রী সাজেদা খাতুন ও তার মেয়ে সাবিকুন নাহারের নামে গত দুই বছর আগে কার্ড করেন। ওই কার্ড দেখিয়ে লিয়াকত প্রতিমাসে ৬০ বস্তা চাল আত্মসাৎ করে আসছিলেন। যা কারও জানা ছিল না। গত ছয় মাস ধরে এ চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে। এর মাঝে রবিবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাজেদা ও তার মেয়েকে কল করে চাল নিয়ে যেতে বলা হয়। এ সময় তারা হতবাক হন।
ভুক্তভোগী মা ও মেয়ে জানান, ওই চাল তারা আজ পর্যন্ত পাননি। তবে মেম্বরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। পরে তারা ইউনিয়ন পরিষদে যান। জানতে পারেন তাদের নামে কার্ড রয়েছে। এক পর্যায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মা ও মেয়ের কাছে ১২ বস্তা চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তারা ওই চাল নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেন সেই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত মেম্বার। এক পর্যায়ে ওই চাল তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি সোমবার সকালে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা লিয়াকতের বাড়ি ঘেরাও করেন। ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশও। তোপের মুখে সটকে পড়েন আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত। পরে ওই ১২ বস্তা চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয় মা-মেয়েকে।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম রবিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে খবর পাওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। চাল উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।