Nabadhara
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩ জুলাই ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দখলে-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে লক্ষ্মীপুরের রহমতখালী খাল

Link Copied!

মাসুদুর রহমান খান ভুট্টু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

দখল ও দূষণের ভয়াবহ চাপে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে লক্ষ্মীপুরের রহমতখালী খাল। একসময় প্রবাহমান ও প্রশস্ত এ খাল এখন নালার মতো সংকুচিত হয়ে পড়েছে। তলদেশে জমেছে অপচনশীল বর্জ্য, দুই পাড় জুড়ে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা, আর বিভিন্ন স্থানে গলা আটকে গেছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ।

 

ফেনী থেকে শুরু হয়ে নোয়াখালী হয়ে লক্ষ্মীপুর পৌর শহর ভেদ করে মজুচৌধুরীর ঘাটে মেঘনা নদীতে মিলেছে রহমতখালী খাল। প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটির অতীতে ছিল নদীর মতো গভীরতা ও প্রশস্ততা—গভীরতা প্রায় ৫২ ফুট এবং প্রস্থ ১৩০ মিটার। এখন সেই খাল অনেক স্থানে ৩০ মিটারও নেই।

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, লক্ষ্মীপুর শহরের বাজার, মাদাম, ঝুমুর, জকসিন, মান্দারী, বটতলী ও চন্দ্রগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এমনকি কোথাও কোথাও খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই, ফলে খাল রূপ নিয়েছে দুর্গন্ধযুক্ত আবর্জনার ভাগাড়ে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড, পৌরসভা ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতর বলছে, খাল রক্ষায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাস্তব অগ্রগতি খুবই সীমিত। পৌর এলাকায় আট কিলোমিটার খালের দখলদারদের চিহ্নিত করতে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। কচুরিপানা, বাঁধ ও ময়লা পরিষ্কারের জন্য নেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা।

 

লক্ষ্মীপুর সুজন সভাপতি মো. কামাল হোসেন বলেন, “একসময় এই খালে বড় বড় পণ্যবাহী নৌকা চলতো। এখন সেই খাল দখল হয়ে সরু নালায় পরিণত হয়েছে। স্রোত আছে, তবে আগের মতো গতি নেই।”

 

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ইউএনও জামশেদ আলম রানা বলেন, “জকসিন ও মান্দারী বাজার এলাকায় শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। যেসব খালে ব্যক্তি মালিকানার দাবিতে জমি দেখানো হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।”

 

পৌর প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন জানান, দখলদারদের উচ্ছেদে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ-জামান খান বলেন, রহমতখালী খাল ও ভুলুয়া নদী খননের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।

 

স্থানীয়দের মতে, রহমতখালী খালকে রক্ষা না করলে এটি শুধু মানচিত্র থেকে নয়, মানুষের জীবন ও পরিবেশ থেকেও একদিন হারিয়ে যাবে। এখনই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আগামী বর্ষায় আবারও ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় ভুগবে লক্ষ্মীপুরবাসী।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।