Nabadhara
ঢাকাসোমবার , ৭ জুলাই ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যশোরের চুড়ামনকাটিতে কপির চারায় সাফল্য, উৎপাদন বেড়েছে, কৃষকের মুখে হাসি

রুহুল আমিন, যশোর প্রতিনিধি
জুলাই ৭, ২০২৫ ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রুহুল আমিন, যশোর প্রতিনিধি

যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে সবজির চারা উৎপাদন বেড়েছে। সাফল্যে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। গত মৌসুমে ১ হাজার ২৫ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চারা উৎপাদন হয়েছিল। চলতি মৌসুমে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩২ বিঘায়। এবারের মৌসুমে ৩৫ কোটিরও বেশি টাকার চারা বিক্রির টার্গেট করেছেন চাষিরা।

 

সবজি চাষিরা জানান, এক যুগ আগে থেকে আব্দুলপুরে বাণিজ্যিক ভাবে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চারার আবাদ চলছে। তাদের সফলতা পাশে বাগডাঙ্গা গ্রামের অনেক চাষিও চারা উৎপাদন শুরু করেন। বর্তমানে প্রতি মৌসুমে চারা উৎপাদন বাড়ছে।

 

আব্দুলপুর গ্রামের সবজি চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ৭ বছর ধরে কপির চারা উৎপাদন করছেন। এবার ১ বিঘা জমিতে ৮০ বেডে বাঁধাকপির বীজ বপন করেছেন। প্রতি বেডে চারা উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে ১ হাজার টাকা। বেড প্রতি আড়াই হাজারের বেশি টাকার বেশি চারা বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরও জানান, গত মৌসুমে প্রতি বেড থেকে আড়াই হাজার টাকার চারা বিক্রি করেছিলেন।

 

আরেক চাষি মামুন হোসেন জানান, গত মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে চারা উৎপাদন করে ৪ লাখের বেশি টাকায় বিক্রি করেন। এবারের মৌসুমে তিন বিঘার একটু বেশি জমিতে চারার আবাদ করেছেন। ফলে বিক্রি ৫ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

বাগডাঙ্গা গ্রামের চাষি রবিউল ইসলাম জানান, কপির চারা উৎপাদন করে অনেকে সাফল্য পেয়েছেন। যে কারণে প্রতি মৌসুমে আবাদের পরিমাণ বাড়ছে। গত মৌসুমে ৩০ কোটির বেশি টাকার বেশি কপি চারা বিক্রি করেছিলেন। চলতি মৌসুমে ৩৫ কোটির টাকার চারা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

 

চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, আব্দুলপুর ও বাগডাঙ্গার চাষিরা কপির চারা উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছেন। এবার আষাঢ় মাসের কয়েকদিন বাকি থাকতেই জমিতে বেড দিয়ে বীজতলা প্রস্তুত করে। তারপর বপন করা হয় বাঁধাকপি ও ফুলকপির বীজ। বীজ থেকে চারা গজিয়েছে। আর কয়েকদিন পর এই চারা চাষিদের কাছে বিক্রি করবে। গত বছর ১ হাজার ২৫ বিঘা জমিতে চারা উৎপাদন করা হয়েছিলো। এবার আনুমানিক ১ হাজার ২৩২ বিঘা জমিতে চারার আবাদ করেছেন চাষিরা। আব্দুলপুরে উৎপাদিত কপির চারা প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হচ্ছে।

 

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসান আলী জানান, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুরে বাণিজ্যিকভাবে ফুল কপি ও বাঁধা কপির চারা উৎপাদন হয়। যশোর ছাড়াও খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে চাষিরা এসে কপির চারা কিনে নিয়ে যান। কপির চারা উৎপাদন করে চাষিরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। উৎপাদন খরচের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় নতুন নতুন চাষি আগ্রহী হচ্ছেন। ফলে ক্রমশ চারা উৎপাদনের পরিমাণ বেড়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।