জামালপুর প্রতিনিধি
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে জামালপুর জেলার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একেবারেই হতাশাজনক ফল করেছে। জেলার আটটি স্কুল ও মাদ্রাসা থেকে অংশ নেওয়া মানবিক ও ভোকেশনাল শাখার ৮০ জনের অধিক পরীক্ষার্থীর কেউই পাস করতে পারেনি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে উদ্বেগ ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মানবিক শাখার ৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
মেলান্দহ উপজেলার কলাবাধা জুনিয়র গার্লস হাইস্কুলে মানবিক বিভাগের ১৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও সবাই অকৃতকার্য হয়। একই উপজেলার বানিয়াবাড়ী এম.এ মজিদ গার্লস হাইস্কুলেও মানবিকের ৮ জন পরীক্ষার্থী কেউ পাস করেনি।
সরিষাবাড়ি উপজেলার চাপারকোনা মনজিলা গার্লস হাইস্কুলে মানবিক শাখার ১০ জন পরীক্ষার্থী পাসের মুখ দেখতে ব্যর্থ হয়েছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রাবাজ হোসনে আরা উচ্চ বিদ্যালয়ে মানবিক বিভাগের একজন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও সেও পাস করতে পারেনি।
এছাড়া সরুলিয়া আহম্মদিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা থেকে অংশ নেওয়া ১০ জন শিক্ষার্থীর কেউ উত্তীর্ণ হয়নি।
মাদারগঞ্জ উপজেলায় চিত্র আরও হতাশাজনক। এখানকার তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও সবাই ব্যর্থ হয়। বিদ্যালয়ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়,
রাবেয়া রইস বালিকা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে ৩ জন, নিশ্চিন্তপুর বালিকা দাখিল মাদরাসা থেকে ২ জন এবং কে.পি.এইচ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (ভোকেশনাল) থেকে ৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল—কিন্তু কেউই উত্তীর্ণ হয়নি।
এ বিষয়ে মেলান্দহের কলাবাধা জুনিয়ার গালর্স হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শাহীনুর ইসলাম মুঠোফোনে ফেইল করার বিষয়টি নিশ্চিত করে মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদানে দুর্বলতা, শিক্ষকের ঘাটতি, পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহের অভাব এবং অভিভাবক পর্যায়ের নজরদারির অভাব—এসবই এমন ভয়াবহ ফলাফলের জন্য দায়ী।