শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
ঐতিহ্যবাহী গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ বিঘা জমির বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া অভিযোগের মুখে বাতিল করা হয়েছে।
ওই জমিটি এতদিন ধরে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বাতিল করায় প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে স্হানীয় যুব সমাজ ও এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের
অন্তর্গত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ডাইভারসন ইটভাটা এলাকায় গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে ৮ বিঘা জমি রয়েছে। বর্গাকৃতির উঁচু ওই জমিটা কৃষি ফসলের জন্য উর্বর হলেও বহু বছর ধরে কাউকে বন্দোবস্ত না দেয়ায় তা খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে স্হানীয় যুবকরা।
চলতি বছরের জুনে জমিটি বাৎসরিক বন্দোবস্ত দেয়ার উদ্যোগ নেন সদ্য বিদায়ী প্রধান শিক্ষক আরজু জাহান। সে অনুযায়ী গত ২৫ জুন ৬ জন ব্যাক্তি আগ্রহ দেখিয়ে বন্দোবস্ত প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করেন। এদের মধ্যে রেজাউল করিম মৃধা নামে একজন সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা দর ঘোষনা করেন। কিন্তু বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া গোপনে, বিনা মাইকিংয়ে এবং অস্বচ্ছভাবে হচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গোলাম মুনতাহা রাতুল নামে এক ব্যাক্তি। ওই জমি স্বচ্ছতার সাথে পুনরায় ইজারা বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য তিনি প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন।
এমতাবস্থায় অনুসন্ধান শেষে ইউএনও নাহিদুর রহমান বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষনা করে তা স্হানীয় যুব সমাজের খেলাধুলার জন্য বরাবরের মতোই ব্যবহারের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, নাজির উদ্দিন হাইস্কুলের মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে ওই এলাকার যুবকরা। মাঠটির লিজ বাতিল করায় আমরা ইউএনও নাহিদুর রহমান স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আলাপকালে গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজা ুর রহমান জানান, জমির লিজ মূল্য সন্তোষজনক হয় নি। তাছাড়া সেখানে এলাকার যুবকরা খেলাধুলা করে বলে ইউএনও স্যার বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বন্দোবস্তের বিষয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। স্বচ্ছ প্রক্রিয়াতেই সকল কাজ করা হচ্ছিল বলে তিনি দাবি করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহিদুর রহমান জানান , স্কুলের জমি বন্দোবস্ত দেয়ার বিষয়ে স্কুল কতৃপক্ষ ইতিপূর্বে তার সাথে কোন ধরনের আলোচনা করেনি। তাছাড়া মাত্র ২০ হাজার টাকায় ৮ বিঘা জমির বন্দোবস্ত দিয়ে যুবকদের খেলাধুলার সুযোগ বন্ধ করে দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। এমনিতেই বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই। তাই তাদের কথা চিন্তা করে বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে।