Nabadhara
ঢাকারবিবার , ২৭ জুলাই ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লাল না হলুদ কলা, সুস্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
জুলাই ২৭, ২০২৫ ৯:২১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

কলার পুষ্টিগুণ আমাদের সবারই জানা। কলার পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সহায়ক। বাজারে কলার নানা রকমের ধরন দেখা যায়, যার মধ্যে দুটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়—হলুদ ও লাল কলা। হলুদ কলা আমরা প্রতিদিন খেয়ে থাকি, কিন্তু লাল কলা অনেকের কাছেই এখনও নতুন। তাহলে প্রশ্ন হলো— এই দুটি কলার মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী?

জেনে নিন লাল কলা নাকি হলুদ কলা—কোনটা কেন খাবেন, কী উপকারিতা রয়েছে এবং বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন।

লাল কলা : মিষ্টি স্বাদের পুষ্টিগুণে ভরপুর লাল কলা, যাকে মুসা আকুমিনাটা, রেড কলা বা কিউবান কলা নামেও ডাকা হয়। দেখতে যেমন লালচে রঙের, তেমনই স্বাদে হালকা রাস্পবেরির মতো মিষ্টি। পুষ্টিবিদরা বলেন, ‘লাল কলা জিনগতভাবে পরিবর্তিত নয় বরং একটি পুষ্টিগুণে ভরা কলার জাত।’

এতে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি৬, বিটা ক্যারোটিন, পটাশিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম। এই পুষ্টিগুলো একত্রে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজম ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

লাল কলার উপকারিতা

শক্তি যোগায় : প্রাকৃতিক শর্করা ও কার্বোহাইড্রেট থাকায় এটি তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়।

হৃদযন্ত্রের যত্ন : উচ্চ পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল কমায়।

হজমে সহায়ক : ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়ক।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা : ভিটামিন সি ও বি৬ সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।

চোখ ও ত্বকের জন্য উপকারী : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

ওজন কমাতে সহায়ক : ফাইবার বেশি, ক্যালোরি কম। ক্ষুধা কমায় ও দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে।

মেজাজ উন্নত করে : ভিটামিন বি৬ সেরোটোনিন নিঃসরণ বাড়িয়ে মুড ভালো রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।

হলুদ কলার তুলনায় লাল কলার কী পার্থক্য?

পুষ্টিবিদরা বলেন, লাল কলা আকারে ছোট ও ঘন। এতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো।

লাল কলা ও হলুদ কলার বৈশিষ্ট্য

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম বেশি, ফাইবার বেশি মাঝারি, স্বাদ মিষ্টি, রাস্পবেরি স্বাদযুক্ত সাধারণ মিষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি তুলনামূলক কম, রঙ    লালচে হলুদ

কখন খাবেন লাল কলা?

বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের মাঝে বা স্ন্যাকস হিসেবে লাল কলা খাওয়া উচিত— আর হলুদ কলা প্রধান খাবারের পর। এতে এর পুষ্টিগুণ আরও কার্যকরভাবে শরীরে শোষিত হবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

আপনার যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ, শক্তি বৃদ্ধি, হজমের উন্নতি বা হৃদযন্ত্রের সুস্থতা নিয়ে চিন্তা থাকে, তাহলে লাল কলা হতে পারে আপনার ডেইলি ডায়েটের পারফেক্ট সংযোজন। তবে অবশ্যই সব কিছুর মতো পরিমিত মাত্রায় খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রতিদিন ১-২টি লাল কলা খাওয়া পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।