এশিয়া কাপের আগে এক নতুন অনিশ্চয়তায় পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। কেন্দ্রীয় সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘অনলাইন গেমিং বিল’ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। এই বিল অনুযায়ী, টাকার বিনিময়ে অনলাইনে খেলা হয় এমন সব অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়তে পারে ভারতীয় দলের জার্সি স্পনসরের ওপরও।
বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি স্পনসর ‘ড্রিম ১১’, যা একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপ। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুলাই পর্যন্ত বিসিসিআই-এর সঙ্গে ড্রিম ১১-এর ৩৫৮ কোটি টাকার চুক্তি রয়েছে। তবে নতুন আইনের আওতায় এই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে এশিয়া কাপে ভারতের জার্সিতে স্পনসরের লোগো থাকবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
এ বিষয়ে এখনো বিসিসিআই বা ড্রিম ১১-এর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি। তবে বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ শইকীয়া বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেন,
“যদি অনুমতি না পাই, তাহলে আমরা কিছু করতে পারব না। কেন্দ্রীয় সরকার যা নীতি নেবে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে ক্রিকেট বোর্ড।”
এই বক্তব্যে স্পষ্ট, পুরো বিষয়টি এখন সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
এদিকে ভারতের একটি জনপ্রিয় ক্রীড়া ম্যাগাজিন ‘স্পোর্টসস্টার’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ ধরনের গেমিং অ্যাপ থেকে ভারতের প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ জড়িত, এবং এসব অ্যাপ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় হয়—যা পুরোপুরি বেআইনি বলে ধরা হচ্ছে। নতুন আইনে বলা হয়েছে, যদি কেউ এই ধরনের অ্যাপ প্রচার করে, তাহলে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল হতে পারে।
‘ড্রিম ১১’ ইতোমধ্যেই একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এখন আর টাকার বিনিময়ে অনলাইন গেমিং চালাবে না। কিন্তু তারা ভারতীয় দলের স্পনসর হিসেবে থাকতে পারবে কি না—এ বিষয়ে কোনো স্পষ্টতা এখনো আসেনি।