শরিফুল ইসলাম (স্টাফ রিপার্টার) নড়াইলঃ
নড়াইলের লোহাগডা পৌরসভার রামপুর গ্রামে এক গৃহবধু কে পিটিয়ে হত্যা করে গলায় শাড়ী পেঁচিয়ে ঘরের আডার সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওযা গেছে। পুলিশ লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে ।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার রামপুর গ্রামে মিঠুন প্রমানিক ও তার স্ত্রী নন্দিতা (১৮) গত সোমবার (২ আগস্ট) রাতে স্বামী স্ক্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। কয়েক ঘন্টার পর নন্দিতার ভাসুরের স্ত্রী রত্না, ও প্রতিবেশী এক মুসলিম নারী মর্জিনা বেগম নন্দিতা ও তার স্বামী মিঠুনের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দিকে যায়। এসময় ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তাদের সন্দেহ হলে দরজা ভেঙ্গে তারা ভিতরে গিয়ে দেখতে পান নন্দিতা ঘরের আড়ার সাথে শাড়ী পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।
এসময় ওই দুই মহিলা নন্দিতার গলার শাড়ীর প্যাচ খুলিয়ে লোহাগড়া হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নন্দিতা কে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নন্দিতার বাবা নিতাই সরকার বলেন, নন্দিতার ১১ মাস আগে মিঠুনের সাথে বিবাহ হয়েছে। বিবাহের পর থেকে মিঠুন ও নন্দিতার মধ্যে প্রায় ঝগড়া হত । কিন্তু সোমবার রাতে স্বামী, স্ত্রী ঝগড়া করায় মিঠুন এক পর্যায়ে আমার মেয়ে নন্দিতাকে হত্যা করে গলায় ফাস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনার পর মিঠুনের পরিবারের লোকজন বাড়ী থেকে পালিয়েছে ।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন নবধারা কে জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে আত্মহত্যা না হত্যা সেটা জানা যাবে।