আশরাফুজ্জামান সরকার, পলাশবাড়ী, (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সুৃলতানপুর বালুপাড়ায় করতোয়া নদীর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজে বাঁধা প্রদান সহ চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এতে অতিষ্ট হয়ে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদার শাহ মো: আপেল মিয়া।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে পলাশবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। সরেজমির পরিদর্শন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুৃলতানপুর বালুপাড়ায় করতোয়া নদীর ধারাবাহিক ভাঙনে প্রতিবছর ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেক পরিবার। ভাঙন রোধে করতোয়া নদীর বালুপাড়ার টার্নিং পয়েন্ট বাম সাইডে ৯০ মিটার এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং প্রকল্প হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান ডিসেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বত্ত্বাধিকারী আপেল ইসলাম। তিনি চলতি বছরের ২ আগস্ট বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করেন। এরপর শুরু হয় একের পর এক বাধা-বিপত্তি।
তিনি অভিযোগ করেন, ভাঙন রোধ প্রকল্পটি ওই গ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুল মিয়ার ছেলে রিপন মিয়ার (৪২) বসতবাড়ির সামনে হওয়ায় তিনি কাজের শুরু থেকেই তার সহযোগিদের নিয়ে কাজে বাঁধা প্রদান সহ নানাভাবে প্রভাব বিম্তার করে আসছিলেন। সেই সাথে কাজ করতে হলে চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি প্রদান করেন। ঠিকাদার পাউবো কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয়দের সমন্বয়ে অভিযুক্ত রিপনের সঙ্গে বিষয়টি একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন তিনি।
এদিকে, ভাঙন রোধ প্রকল্পে কাজ বন্ধ হওয়ায় চরম হতাশা আর আতঙ্ক তৈরী হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। তারা ভাঙন রোধে এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় আশায় বুক বেঁধে ছিলেন। ভেবেছিলেন লাঘব হতে চলেছে দীর্ঘদিনের নিঃস্ব-রিক্ত হবার বেদনার। কিন্তু মাঝপথে এসে কাজ বন্ধ হওয়ার পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থগ্রহণ করতঃ পুনরায় কাজ চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।
অপরদিকে অভিযুক্ত রিপন মিয়া তার উপর আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।