দেশে বর্তমানে প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে অন্তত একজন জীবদ্দশায় স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনসহ আরও অনেকে।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ পর্যায়ে নারীস্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে এনজিও ও স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে নারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে স্তন ক্যান্সার বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও স্ক্রিনিং কার্যক্রম চালুর ওপরও তিনি জোর দেন।
সভায় সাম্প্রতিক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, দেশে ক্যান্সারজনিত মোট মৃত্যুর প্রায় ১২ শতাংশই স্তন ক্যান্সারজনিত এবং নারীদের ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্যে ১৬.৮ শতাংশ স্তন ক্যান্সারে ভোগেন। তবে নতুন প্রযুক্তি ডিজিটাল ব্রেস্ট টোমোসিনথেসিস ব্যবহার করে স্তন ক্যান্সার শনাক্তের সাফল্যের হার প্রায় ৯৭ শতাংশ। বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরে মাইক্রোক্যালসিফিকেশন শনাক্তে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সচেতনতার ঘাটতি, দেরিতে শনাক্তকরণ ও চিকিৎসায় বিলম্বই মৃত্যুহার বাড়াচ্ছে। তবে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, স্ক্রিনিং ক্যাম্প ও জনসচেতনতা বাড়লে বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সার মোকাবিলা অনেক সহজ হবে।