মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে মুখ খুলেছে ছাত্রীরা। সকালে বিক্ষুব্ধ এইচএসসি /২১ সালের ২০/২৫ জন ছাত্রী উপজেলা গেট চত্বরে সমবেত হয়ে অধ্যক্ষ মোঃ ফারুক আহমেদের বিভিন্ন অনিয়মের বক্তব্য প্রদানপূর্বক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্বলিত একটি কপি সাংবাদিকদের নিকট দাখিল করে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অত্র কলেজের অধক্ষ্য মোঃ ফারুক আহমেদ মাসিক বেতন সহ ফরম ফিলাপ করার জন্য সর্বমোট ৪৮০০ টাকা এবং এসাইনমেন্ট এর জন্য ৩ বার মোট ৭০০ টাকা প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন। অথচ ভর্তি কালীন সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকরা আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাসিক কোন বেতন প্রদান করা লাগবে না। পরিতাপের বিষয় হলো, করোনা কালে প্রত্যেক অভিভাবকই ক্ষতিগ্রস্ত। অধিকাংশ অভিভাবকই দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন। তাছাড়াও অনেকের বাবা, মা নেই কেউ কেউ মামা বা চাচার কাছে থেকে লেখা পড়া করে। এমতাবস্থায়, অতিরিক্ত টাকা প্রদান মরার ওপর খাড়ার ঘা এর মত অবস্থা। ছাত্রীরা তাদের লিখিত এসাইনমেন্ট কলেজে জমা দিতে গেলে জমাকৃত এসাইনমেন্ট কলেজের শিক্ষক বুলবুল আহমেদ ছিড়ে ফেলেন বলে তার জানায়। অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অধ্যক্ষ বলেন টাকা না দিতে পারলে লেখাপড়ার দরকার নাই। এ বিষয়ে লক্ষীপাশা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মোঃ ফারুক আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সর্বপ্রথমেই বলেন, আপনারা আমার বিরুদ্ধে কেন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন এবং সাংবাদিকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। পরিশেষেঃ তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমার কথাগুলো রেকর্ড করে নেন এবং যা খুশী লেখেন, আমার পরিচালনা পর্ষদ আছে। এই বলে ক্ষুদ্ধ হয়ে ফোনটি কেটে দেন। এই ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভূঁইয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সরকারী বিধি মোতাবেক এসাইনমেন্টের কোন টাকা নেওয়া যাবেনা এবং ফরম পূরণের জন্য বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত টাকার বেশি নিতে পারবে না। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত টাকার বেশি গ্রহণ করে তাহলে তা আইনের পরিপন্থী। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পায়নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) রোসলিনা পারভীনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, কলেজের একটি মেয়ে অভিযোগের ব্যপারে ফোন করেছিল, অফিসে না থাকায় অভিযোগ গ্রহণ করতে পারিনি। তাকে রবিবারে অভিযোগপত্র জমা দিতে বলেছি। অভিযোগ পত্র পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।