হুমায়ন কবির মিরাজ, বেনাপোল (যশোর)
যশোরের শার্শা উপজেলার ঠেঙামারী বিলে এবারও নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিলে ব্যাপক কচুরিপানা ও জলাবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার বিঘা জমি পতিত থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে আসন্ন বোরো মৌসুমে ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
মাঠজুড়ে কচুরিপানায় আচ্ছন্ন ঠেঙামারী বিল। পানি ও আগাছার কারণে জমিতে পা ফেলারও জায়গা নেই। নভেম্বরের শেষেই বীজতলা তৈরির সময় হলেও এখনো বিলে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি জমে রয়েছে। ইছামতি নদীর পানি এখনও প্রবেশ করছে, ফলে জমি শুকানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
স্থানীয় কৃষকরা শনিবার থেকে নিজেদের উদ্যোগে কচুরিপানা পরিষ্কারে নেমেছেন। মেশিন ব্যবহার করে কেটে জমি পরিষ্কার করার চেষ্টা চলছে। তবে কৃষকরা জানাচ্ছেন, কাজটি কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল।
কৃষক নায়েব আলী জানান, এক বিঘা জমির কচুরিপানা পরিষ্কার করতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ পড়বে। এছাড়া কচুরিপানা ফেলার জায়গা হিসাবেও প্রায় দুই কাঠা জমি নষ্ট হবে। অন্য কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, মেশিনে কাটা সহজ হলেও খরচ অনেক, এবং সময়মতো পানি না নামলে পরিশ্রম বৃথা যাবে।
কৃষকরা এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য টেকসই সমাধান চান। তারা আশা করছেন, সরকার ঘোষিত খাল সংস্কার ও গেট নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিলে আবার ফসল ফলানো সম্ভব হবে।
কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল হোসেন বলেন, দাউদখালী খালমুখে বাঁধ ও খাল সংস্কারের সরকারি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এলাকাবাসীর ভোগান্তি অনেকটা কমবে।