আজাহার আলী, বগুড়া
‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বুধবার (২২ অক্টোবর) বগুড়ায় পালিত হয়েছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫। দিবসটি উপলক্ষে শহরের সাতমাথায় পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ (পিআইজি), বগুড়ার আয়োজনে এবং স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট-এর সহযোগিতায় এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা আজ দেশের জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতির জন্য এক গুরুতর হুমকি। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩,৭৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১,২০২ জন, যা মোট মৃত্যুর ৩২ শতাংশেরও বেশি।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ বগুড়ার আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক (পিপি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২, বগুড়া)। তিনি বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ বেপরোয়া গতি, অবৈধ যানবাহন চলাচল ও সড়কের অনুপযুক্ত অবস্থা। মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার, গতি নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক আইন মেনে চললে মৃত্যুহার অনেকাংশে কমানো সম্ভব।”
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান, পিইউপি’র প্রধান সমন্বয়কারী শেখ মোহাম্মদ আবু হাসানাত, সাবেক কাউন্সিলর খোরশেদ আলম এবং পেসডের নির্বাহী পরিচালক রোমমানা খাতুন।
জিয়াউর রহমান বলেন, “নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারিচালিত রিকশা সড়ক নিরাপত্তার বড় ঝুঁকি। প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ ও চালকদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।”
আবু হাসানাত বলেন, “অতিরিক্ত গতি ও মোটরসাইকেলের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলই দুর্ঘটনার মূল কারণ। সবার সম্মিলিত উদ্যোগেই নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা সম্ভব।”
খোরশেদ আলম বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ট্রাফিক আইন মানার কোনো বিকল্প নেই।”
রোমমানা খাতুন বলেন, “নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় নাগরিক দায়িত্বশীলতা ও আইন মানার অভ্যাস অপরিহার্য।”
বক্তারা সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পৃথক ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়নের দাবি জানান।
মেন্টর শেখ আবু রাহাত মো. মাসরুকুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মথুরা সমাজকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী পরিচালক জাহেদুর রহমান জাহিদ, অ্যাডভোকেট দস্তগীর, পিইউপি’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খসরু, সাংবাদিক তাহেরা জামান লিপি, পিআইজি সদস্যবৃন্দ, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।