তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় ‘নামধারী সাংবাদিক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে নাজমুল, রাজু ও হাফিজ নামে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী।
গত রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে তালা উপজেলা সদরের মোবারকপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আনিছুর রহমানের স্ত্রী রেক্সনা বেগম।
তিনি বলেন, “নাজমুল, রাজু ও হাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নারীলোভী আচরণ, ভয়ভীতি ও চাঁদাবাজি করে আসছে। টাকা না দিলে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেয়। আমি তালা সেটেলমেন্ট অফিসে মাস্টাররোলে চাকরি করি, কিন্তু তাদের ভয়ে অফিসে যাওয়া–আসা পর্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।”
রেক্সনা বেগম আরও বলেন, “এরা কখনো বিএনপি, কখনো জাতীয় পার্টির রাজনীতি করে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারা জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাংবাদিক নজরুল ইসলামের ঘোড়া প্রতীকে ভোট করেছিল এবং এখনো তার দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করে। পরে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ২৪ অক্টোবর বাড়ির ঘরোয়া রাস্তাকে কেন্দ্র করে রাজু তাকে মারধর করে। এরপরে একই দিন সন্ধ্যায় খান নাজমুল, মোস্তাফিজুর রহমান রাজু ও হাফিজুর রহমান তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
এ সময় তালা সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মশিয়ার রহমান এবং তালা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার পরামর্শ দেন। কিন্তু উপস্থিত জনতার সামনে রাজু ও নাজমুল তাদের উপর চড়াও হলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমুলকে গণধোলাই দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে রেক্সনা বেগম বলেন, “রাজু ও নাজমুল গংদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তারা প্রায়ই গালাগালি, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তাদের ভয়ে আমরা পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
তিনি অবিলম্বে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোবারকপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মোড়ল, আনিছুর মোড়ল, সোহাগ সরদার, আলম মোড়লসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

