মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের নির্বাচনী হাওয়া ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত। প্রায় প্রতিদিনই সম্ভাব্য প্রার্থীরা সভা-সমাবেশ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।
মনিরামপুরে বিএনপির মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীর লড়াই তুঙ্গে। ধানের শীষের জন্য লড়াই করছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্জ্ব এ্যাড. শহীদ মোহাম্মাদ ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু, সাবেক ছাত্রনেতা ইফতেখার সেলিম অগ্নি, এ্যাড. এম এ গফুর, জাহানারা সিদ্দিকী, মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, এবিএম গোলাম মোস্তফা তাজ ও প্রয়াত মো. মুসার পুত্র কামরুজ্জামান শাহিন।
এদিকে, একক প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এ্যাড. গাজী এনামুল হক। একইভাবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশিদ বিন ওয়াক্কাস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জয়নাল আবেদীন টিপু, খেলাফত মজলিসের মাওলানা তবিবর রহমান, জাগপা’র নিজামদ্দিন অমিত এবং এবি পার্টির মোঃ হাবিবুর রহমানও নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সাবেক মেজর মোস্তফা বনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।
মনিরামপুর আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭ হাজার ২৮৫ জন। এতে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৬ হাজার ১৪১ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৪০ জন। এ আসনে ১টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশে আওয়ামী লীগ এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ধানের শীষ ও জামায়াত জোটের মধ্যে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
মনিরামপুরের প্রার্থীরা তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নেতা ও কর্মীদের মন জয় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হাইকমান্ডের নজরে আসতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। এলাকার মানুষের মধ্যে তাদের প্রচেষ্টা ও জনপ্রিয়তা নির্বাচনের ফলাফলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

