খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার তেরখাদা উপজেলার খাল-বিলে ইলেকট্রিক শক ব্যবহার করে মাছ ধরা ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। ভুতিয়ারবিল, বাসুয়াখালী বিল, কোলা বিলসহ বিভিন্ন খাল-বিলে মা মাছ, পোনা এবং ক্ষুদ্র জলজ প্রাণীও নির্বিচারে শিকার করা হচ্ছে। শিকারীরা ইনভার্টারের মাধ্যমে মাছকে অসাড় করে সহজেই জালে তুলে নিচ্ছেন, ফলে জলজ জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
অনলাইন নিউজ পেপার নবধারায় আজকে দুপুরে “তেরখাদার খাল-বিলে ইলেকট্রিক শকে মাছ ধরা, দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির শঙ্কা”শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর দ্রুত পদক্ষেপ নেন। বিকেলে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা।
অভিযানে সহযোগিতা করেন নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট, থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন। উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আঁখি শেখ এবং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জামান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে লাকসিমা বেগম ও তার স্বামী মোঃ রাসেল শেখকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ২টি ব্যাটারি, ১টি অ্যাডাপ্টার, ১টি স্কুপ নেট এবং ৩৯০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জামান জানিয়েছেন, “ইলেকট্রিক শক মেশিনে মাছ ধরা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং পরিবেশবিধ্বংসী। দেশের দেশীয় মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধি ও কঠোর পদক্ষেপই একমাত্র উপায়।”
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দ্রুত পদক্ষেপের কারণে অবৈধ মাছ শিকার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে প্রশাসন আরও কড়াকড়ি অব্যাহত রাখবে এবং সময়মতো তৎপরতা অব্যাহত থাকলে তেরখাদার খাল-বিলের দেশীয় মাছের প্রজাতি রক্ষা সম্ভব হবে।

