দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার বিস্তীর্ণ ও দূর্গম চরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ‘কাকন বাহিনী’ ও ‘মন্ডল বাহিনী’ সহ বিভিন্ন বাহিনীর সন্ত্রাসীদের ধরতে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। আজ রোববার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা, পাবনার আমিনপুর ও ঈশ্বরদীর চরাঞ্চলে একযোগে এ অভিযান চালানো হয়।
‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ নামে আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর চলা এ অভিযানে অংশ নেয় পুলিশ, র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ সময় ৫টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, বিপুল পরিমান মাদক ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান জানান, চরাঞ্চলে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’। অভিযানে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিমের প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়া অঞ্চল থেকে ৮ জন এবং রাজশাহীর বাঘা ও পাবনার আমিনপুর-ঈশ্বরদী এলাকা থেকে আরও ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে, গত ২৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর সীমান্তবর্তী দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজায় খড়ের মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে ‘মন্ডল বাহিনী’ ও ‘কাকন বাহিনী’র মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে মন্ডল বাহিনীর দু’জন ও কাকন বাহিনীর একজন নিহত হন। ৩খুনের ঘটনায় দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের নামে দৌলতপুর থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
পদ্মার চরে বিশেষ অভিযানের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বলেন, ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ নামে পদ্মার চরে বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকার সাবেক ইউপি সদস্যবিল্লাল মেম্বর (৪৮) সহ ৮ জনকে আটক হয়েছে। পরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

