দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ঢেলে সাজানো হবে। তিনি বলেন, “সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেকে তৈরি করো। তোমরা মেধার প্রতিযোগিতায় অংশ নাও—একদিন সফল হবেই। আমিও তোমাদের মতো এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম।”
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে দাউদকান্দি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গৌরবের ১০৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘গৌরবের অর্জন—কৃতী শিক্ষার্থী ২০২৫’ ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “আমি যদি শিক্ষা জীবনে সময়কে কাজে না লাগাতাম, আজ এ অবস্থানে আসতে পারতাম না। এই বিদ্যালয় আমাকে অনেক বড় সাপোর্ট দিয়েছে। তাই তোমরা শিক্ষার সময়টাকে কাজে লাগালে দেশ ও জাতির শক্তি হয়ে উঠবে।”
ড. মোশাররফ বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হলে কোনো জাতি উন্নত হতে পারে না। রাষ্ট্রকে শিক্ষার উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। আমরা যত বেশি শিক্ষিত হবো, তত বেশি উন্নত হবো।”
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব মো. নিজাম উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিন এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ জসীউদ্দিন আহাম্মেদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম. এ. লতিফ ভূঁইয়া, সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ সেলিম সরকার, ব্যবসায়ী আরমান চৌধুরী রবিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শওগাত চৌধুরী পিটার, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জসীউদ্দিন আহাম্মেদ, সদস্য সচিব কাউসার সরকার, ইশতিয়াক সরকার বিপুল, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জামাল উদ্দীন মোল্লা, রোমান রাজীব চৌধুরী, জানে আলমসহ আরও অনেকে।
পরে প্রধান অতিথি এসএসসি–২০২৫ সালের ৪৯ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীর হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন। অনুষ্ঠানের শেষপর্বে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক সচিব মো. নিজাম উদ্দিন ও অধ্যাপক ড. নুরুল আমিনকে সম্মাননা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এম. এ. মামুন সরকার।

