বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বিনা আক্তার (২২) নামে এক তৈরি পোশাক কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত বিনা আক্তার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের বীরগাঁও এলাকার সুলতান মাহমুদের মেয়ে। তিনি স্বামী জুয়েল মিয়ার সঙ্গে গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় দুই বছর আগে বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের সাতানী পাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে জুয়েল মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় বিনা আক্তারের। বিয়ের পর দম্পতি গাজীপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় যোগ দেন এবং বড়বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পরিবারের অভিযোগ—বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে জুয়েল মিয়া স্ত্রী বিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। ১৬ নভেম্বর রাতে তাদের মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়। এর পরদিন দুপুরে জুয়েলের পক্ষ থেকে বিনা আক্তারের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। ঘটনার পর থেকেই স্বামী জুয়েল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
বিনা আক্তারের বাবা সুলতান মাহমুদ বলেন, “জুয়েল প্রায়ই আমার মেয়েকে মারধর করতো। আমাদের ধারণা, সে-ই বিনাকে হত্যা করেছে। আমরা চেয়েছিলাম মরদেহ প্রথমে আমাদের বাড়িতে আনা হোক, কিন্তু তারা গোপনে মরদেহ জুয়েলের বাবার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং দ্রুত দাফনের প্রস্তুতি নেয়।”
তিনি আরও জানান, পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তারা জুয়েলের বাড়িতে গিয়ে পোস্টমর্টেম ছাড়া দাফনে বাধা দেন। পরে উভয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় মরদেহ অবশেষে বিনার বাবার বাড়িতে আনা হয়।
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, “খবর পাওয়ার পর মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ভোরে বাবার বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।”
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গাজীপুরের গাছা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

