মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুরের জামেয়া ইমদাদিয়া (বালক–বালিকা) মাদানীনগর ময়দানে আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বিশাল উলামা–মাশায়েখ ও সুধী সম্মেলন। বিপুল জনসমাগমে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে দেশ–বিদেশের বিশিষ্ট আলেম ও রাজনৈতিক নেতারা অংশ নেন।
সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও এমপি মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাসের পুত্র মাওলানা রশিদ বিন ওয়াক্কাসের সভাপতিত্বে এবং হোসাইন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান।
এছাড়া ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমরা বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা সাইয়্যেদ মওদুদ মাদানী, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য মাওলানা আব্দুল গফুর হায়দারী, জমিয়তে উলামা ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. মো. মহিউদ্দিন ইকরামসহ জমিয়তের জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা মুসলিম উম্মাহর বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট, দ্বীনি শিক্ষার বিস্তার, সমাজিক স্থিতিশীলতা এবং ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনিরামপুরে এই সম্মেলন বিশেষ গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাওলানা রশিদ বিন ওয়াক্কাসকে শক্ত অবস্থানে আনতেই এই বৃহৎ সমাবেশের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উল্লেখ্য, যশোর–৫ (মনিরামপুর) আসন থেকে তার বাবা মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস একাধিকবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সাবেক হুইপ ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। তারই রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসেবে রশিদ বিন ওয়াক্কাসকে সামনে আনতে দলের নেতাকর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্মেলনে হাজারো মানুষের উপস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলেমদের অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে মনিরামপুরে নির্বাচনী আলোচনায় নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। স্থানীয় ভোটারদের মতে, এটি শুধু একটি ধর্মীয় বা সুধী সম্মেলন নয়—আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে প্রভাবিত করতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

