স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল
সবুজ গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে টমেটো। থোকায় থোকায় টমেটোর ভারে গাছ যেন হেলে পড়েছে। অন্য ফসলের চেয়ে অনেক বেশি লাভজনক হওয়ায় শীতকালে টমেটো চাষে ঝুঁকছেন নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামের কৃষকরা।
ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজম্যান্ট প্রকল্প (ডিএই অংশ) নড়াইল সদর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে পলিশেডে শীতকালীন বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করেছে এ এলাকার কৃষকরা। আধুনিক প্রযুক্তি ও সঠিক পরিচর্যার কারণে টমেটোর ফলন ভালো হয়েছে। আর সেই সাথে বেড়েছে কৃষকদের আয়ও। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় প্রথম বারের মত পলিশেডে টমেটো চাষ করে খরচ বাদে ভালো লাভ হওয়ায় খুশি কৃষকরা। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে টমেটো চাষে আগ্রহী হবে কৃষকরা।
চাঁচড়া গ্রামের টমেটো চাষি আহাদ হাসান বলেন,‘আমি বিশ শতক জমিতে কৃষি অফিসের দেওয়া প্রশিক্ষণ ও পরামর্শে পলিশেডে শীতকালীন টমেটো চাষ করেছি। এই জমিতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। টমেটো যেভাবে ধরছে বিক্রয় করে আমার খরচ বাদে এক লাখ টাকা লাভ হবে।’
আরেক টমেটো চাষি শাহিদ মোল্যা বলেন,‘আধুনিক পদ্ধতিতে পলিশেডে শীতকালীন টমেটো চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছি কৃষি অফিস থেকে। রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক পরিচর্যার কারণে ফলন ভালো হয়েছে। তবে বাজারে টমেটোর চাহিদা বেশি হওয়ায় প্রতি কেজি পাইকারি পর্যায়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করেছি। দাম যদি এভাবে থাকে কৃষক লাভবান হবে।
নড়াইল জেলা কৃষি-সম্প্রসারণ উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন,তুলারামপুর ইউনিয়নে পলিশেডে শীতকালীন টমেটো চাষ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ,পরামর্শ ও কৃষি উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগীতা কৃষকদের দেওয়া হয়। টমেটোর বাজার মূল্য বেশি থাকায় আগামীতে পলিশেডে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়বে।

