রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় আদালত চত্বরে সংঘটিত বহুল আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনায় কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। গ্রেপ্তারকৃতের নাম মো. ইজাজুল হোসেন (৩৫)। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে র্যাব। ইজাজুল একই এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) খুলনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নিস্তার আহমেদ। তিনি বলেন, আদালত চত্বরে সংঘটিত নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই র্যাব বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর খুলনা মহানগরীর আদালত চত্বরে প্রকাশ্য দিবালোকে ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই দিন বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা শেষে বের হওয়ার সময় ফজলে রাব্বী রাজন (৩০) ও হাসিব হাওলাদার (৪০) নামের দুই ব্যক্তিকে গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি নগরজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
ঘটনার পরপরই র্যাব-৬ একটি বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও বিশ্লেষণের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে খুলনার রূপসা নদীর অপর পাড়ের আইজগাতি এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত মো. ইজাজুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব জানায়, মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে ইজাজুলের উপস্থিতি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান ছিল, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
র্যাব-৬ এর মিডিয়া অফিসার ফজলুর রহমান জানান, এই হত্যাকাণ্ডটি মূলত খুলনা মহানগরীতে সক্রিয় দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে অন্তঃকোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে। মাদক বিক্রির অর্থ ভাগাভাগি এবং চাঁদা উত্তোলন নিয়ে বিরোধের জের ধরেই এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। তিনি আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

