নবধারা ডেস্ক
বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়াই একজন মুমিনের প্রধান করণীয়। ইসলামি শিক্ষায় বিপদে পড়লে কিছু বিশেষ আমলের কথা গুরুত্বের সঙ্গে বলা হয়েছে, যা মানসিক শান্তি ও আল্লাহর সাহায্য লাভে সহায়ক।
ইস্তিরজা : বিপদে প্রথম আমল, বিপদে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে
“ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন”
পাঠ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর মালিকানা ও তাঁর কাছেই ফিরে যাওয়ার বিশ্বাস প্রকাশ করে।
রাসূল (সা.)-এর শেখানো দোয়া, রাসূলুল্লাহ (সা.) বিপদের সময় এই দোয়া পড়তে শিক্ষা দিয়েছেন–“আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফলি খাইরাম মিনহা”
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে এই বিপদে রক্ষা করুন এবং এর উত্তম প্রতিদান দিন।
ইউনুস (আ.)-এর দোয়া, মুক্তির চাবিকাঠি, নবী ইউনুস (আ.)-এর এই দোয়া বিপদ থেকে মুক্তির জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ–“লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জালিমিন” হাদিস অনুযায়ী, এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহ বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।
ইস্তিগফার, গুনাহ মাফ ও প্রশান্তির পথ, নিয়মিত “আস্তাগফিরুল্লাহ” বা পূর্ণ ইস্তিগফার পাঠ করলে গুনাহ মাফ হয় এবং অন্তরে প্রশান্তি আসে।
দুরূদ পাঠে রহমত লাভ, নবীজির ওপর দুরূদ পাঠ বিপদ দূর ও দোয়া কবুলের অন্যতম মাধ্যম। যেমন, “আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ”
তাহাজ্জুদ, নীরব রাতে আল্লাহর দরবারে আবেদন
রাতের শেষ ভাগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে দোয়া করলে আল্লাহ বিশেষভাবে বান্দার প্রার্থনা কবুল করেন।
ধৈর্য ও আল্লাহর মহিমা স্মরণ, বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করা, আল্লাহর ক্ষমতা ও মহিমা স্মরণ করা একজন মুমিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল।
বিপদ মুমিনের জন্য পরীক্ষা। ইমান, ধৈর্য ও দোয়ার মাধ্যমে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াই ইসলামের শিক্ষা।

