নবধারা ডেস্ক
শীত এলেই গ্রাম বাংলার মাঠ-ঘাট, ফসলের জমি ও বাড়ির আশপাশে চোখে পড়ে এক পরিচিত সবুজ শাক—বেথো শাক। অনেক জায়গায় এটি বথুয়া শাক নামেও পরিচিত। সাধারণত আগাছা হিসেবে জন্মালেও পুষ্টিগুণের দিক থেকে এই শাককে বলা যায় এক ধরনের প্রাকৃতিক সুপারফুড।
পুষ্টিবিদদের মতে, বেথো শাকে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। পাশাপাশি এতে ভিটামিন এ, সি ও কে এবং প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড ও ফাইবার থাকায় এটি শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকেও বেথো শাক বেশ কার্যকর। নিয়মিত খেলে এটি কোষের ক্ষয় রোধ করে, দেহ গঠনে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লোকজ চিকিৎসায় একে কৃমিনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। অনেকেই শাকটির রস পান করেন হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য।
বেথো শাক বিভিন্ন নামে পরিচিত, বথুয়া, বৈথা, বেতো, বইত্তা শাক ইত্যাদি। রান্নার ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার বহুমুখী। ভাজি, ভর্তা কিংবা তরকারি–সবভাবেই এটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
মূলত শীতকালেই এই শাক বেশি পাওয়া যায়। গ্রাম বাংলায় স্বাভাবিকভাবেই জন্মানো এই শাক শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও খাদ্য ও ভেষজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সহজলভ্য ও পুষ্টিতে ভরপুর হওয়ায় বেথো শাক নতুন করে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে উঠে আসছে।

