জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জঃ
বেতন পাচ্ছেন না গোপালগঞ্জের ৫টি সরকারি কলেজের ১০২ জন বেসরকারি কর্মচারী। নাম মাত্র বেতনে ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনি কর্মচারী পদে কর্মরত রয়েছেন তারা। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। চলছে মানবেতর জীবনযাপন। আগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চাকুরি রাজস্বখাতে নেয়ার দাবি এসকল বেসরকারি কর্মচারীদের।
:
গোপালগঞ্জ জেলার সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, সরকারি নজরুল ইসলাম কলেজ, রামদিয়া সরকারি এস.কে কলেজ, টুঙ্গিপাড়া সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ, কোটালীপাড়া সরকারি শেখ লুৎফর রহমান কলেজের ১০২ জন কর্মচারী বেসরকারিভাবে কর্মরত রয়েছেন। ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনি কর্মচারী পদে কর্মরত রয়েছেন তারা। অস্থায়ী নিয়োগে নাম মাত্র বেতনে চাকরি করছেন এসকল কর্মচারীরা। মাসিক বেতন তিন থেকে পাঁচ হাজার হলেও করোনাকালীন সময় কমে গেছে বেতন ভাতা। সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বেসরকারি কর্মচারীরা।
সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারী কর্মচারীদের অভিযোগ, ২৫ বছর ধরে চাকরী করে বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে অনেকে মারা গিয়েছে। আবার অনেকে চাকরী শেষ করে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন।
মানবেতর জীবনযাপন করা কর্মচারী শুশান্ত বিশ্বাস বলে, ১০ বছর ধরে চাকরী করছি, এ দুমূল্যের বাজারে আর টিকে থাকতে পারছি না। জীবনের প্রতি ঘৃনা ধরে গেছে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: মহব্বত আলী নবধারা কে বলেন, জনবল সংকটের কারনে অস্থায়ী ভিত্তিতে এসকল কর্মচারীদের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনিতে নিয়োগ দেয়া হয়। দীর্ঘদিন যাবত তারা চাকরি করছেন তবে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সরকারি নিয়োগ জটিলতায় স্থায়ী করা হয়নি। দ্রুত এই বেসরকারী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী হবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।
দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়মিত ও রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীরা।