সেইদিন গুলির কথা মনে পড়ে
যখন তোমার জন্মদিনে কোন উৎসব ছিল না
মানুষের ভালবাসা ছিল
সে ভালবাসায় সিক্ত হতে হয়ত
এবং তুমি জানতে-
এই আম জনতা
কৃষক-শ্রমিক কিংবা মধুমতির জেলে নকুল বৈরাগী
সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লির জমিরুদ্দিনের বুকের মধ্যে গোলাপ ভালবাসায় তুমি ছিলে
আছ পাহাড়ি ঝরনার জলে
মায়াবী হরিণের চঞ্চল চোখে।
সেইদিন গুলির কথা মনে পড়ে
যখন পত্রিকার পাতায় তোমার নাম লেখা নিষিদ্ধ ছিল
তোমার ছবি ছাপান ছিল
রাষ্ট্রদ্রোহিতা
সেই নিঃস্তব্ধ নীরব বিরুদ্ধ সময়ে কতিপয় সাহসী তরুণ রাজধানির দেওয়ালে
দুরন্ত সাহসে লিখেছিল,
“এক মুজিবের রক্ত থেকে লক্ষ মুজিব জন্ম নেবে”
তার জন্য একজন ফাঁসির মঞ্চে যেতে যেতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিয়ে জেল খানায় ছিল তোমাকে ভালবাসার সচেতন অপরাধে।
৭৫ থেকে ৭৮ বাংলাদেশের সকল জেলখানা সাক্ষি দেবে
প্রতিরাতে ফাঁসির মঞ্চের করুণ আর্তনাদ
আর দেওয়ালে দেওয়ালে তার নির্মম প্রতিধ্বনি
চোখ বেঁধে জেল খানায় চালানো হতো হত্যার মহোৎসব
আর সারা দেশ পৃথিবী দেখল
তোমাকে ভালবাসার অপরাধে
জেলের অভ্যন্তরে জীবন দিতে হলো
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ধীমান কাণ্ডারী তাজউদ্দিনসহ চার প্রমিথিউসকে।
তোমাকে ভালবেসে তাদের রক্তে আর একবার পবিত্র হলো বাংলাদেশ।