মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইলঃ
নড়াইলের কালিয়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার ও ঘের ব্যবসায়ী প্রদীপ বর্মন ১৫০ বিঘা জমিতে মৎস চাষের পাশাপাশি ঘেরের পাড়ে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে উপজেলার সফল কৃষকের তালিকায় অর্šÍভুক্তি হয়েছেন।
তার ফলানো সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে খুলনা ও মাগুরার পাইকারী বাজারেও বিক্রয় হচ্ছে বলে তিনি জানান। প্রদীপ বর্মন পৌর এলাকার গোবীন্দ নগর গ্রামের মৃত সন্তোষ বর্মনের ছেলে। ১৩ ডিসেম্বর (সোমবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেড়শত বিঘা জমিতে মিশ্র মৎস খামারে রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া, চিংড়িসহ নানা প্রজাতির মাছ চাষের পাশাপাশি ঘেরের পাড়ে ১২ হাজার টমেটো গাছ,কয়ের হাজার লাউ ও মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন এবং একদিন অন্তর ১০ মন পাঁকা টমেটো উত্তোলন করে পাইকাড়ী বাজারে ভাল মূল্যে বিক্রয় করেন। আরো জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিসের তত্বাবধায়নে এবছর অফসিজেন তরমুজ চাষ করে তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন। এখানে প্রতিনিয়ত ১০ জন কর্মচারী কাজ করেন এবং মাঝে মাঝে বাড়ানো হয়। এতে বেকারত্ব দুরের পাশাপাশি কয়েকটি পরিবার সচ্ছলতার মুখ দেখেছে। এছাড়া কিছু স্কুল কলেজ পড়–য়া ছেলেরা এখানে খন্ডকালীন কাজ করে তাদের লেখাপড়ার খরচ চালায় বলে জানা যায়।
ঘের মালিক প্রদীপ বর্মন নবধারা কে জানান, উপজেলা কৃষি ও মৎস অফিস থেকে আমি যথেষ্ট সহযোগীতা পাই। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ আমি এ ব্যবসায় আছি। প্রতি বছর ৫০/৬০ লক্ষ টাকা ইনভেষ্ট করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে মৎস ও সবজি থেকে যাবতীয় খরচ বাদে প্রায় ৬০/৭০ লক্ষ টাকা আয় করি এবং স্থাণীয় চাহিদা মিটিয়ে খুলনা ও মগ্রুরা পাইকাড়ী বাজারে বিক্রয় করি।
উপজেলা কৃষি অফিসার সুবির কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রদীপ বর্মন দেড়শত বিঘা জমির ওপরে সমন্বিতভাবে ধান, সবজি ও মৎস চাষ করে আসছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের তত্বাবধায়নে রবি মৌসুমে টমেটো, লাউ ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করে থাকে এছাড়া ও আমাদের প্রতক্ষ তত্বাবধায়নে সেখানে অফ সিজেন তরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন তিনি। মিশ্র সবজি চাষের ফলে এলাকার পুষ্টি উন্নয়নে ভুমিকা রাখাসহ অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।