মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইলঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চতুর্থ ধাপের আসন্ন ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার কার্যক্রম জমে উঠেছে। নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নিয়ে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন পরিচ্ছন্ন আধুনিক ইউনিয়ন গড়ার। প্রত্যেকেই নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
আর ভোটাররা বলছেন, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নেবেন তাঁরা। ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তাঘাট, অলিগলি ও পাড়া-মহল্লা এখন স্লোগানমুখর। পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে ইউপির অলি গলি, বাসা বাড়ি, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বসতবাড়িতেও এখন আলোচনার বিষয়স্তু শুধু নির্বাচন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র, জাতীয় পার্টি ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, লোহাগড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা দল বেঁধে প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী এলাকা সরগরম করে তুলছেন। তাঁরা অটোরিকশা, ইজিবাইক, নসিমন ও রিকশায় মাইক বেঁধে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
১২টি ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা গণসংযোগে জানান, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদের সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রার্থীরা নিজ নিজ ইউনিয়ন পরিষদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং যানজট নিরসনসহ মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধানের মাধ্যমে ডিজিটাল ইউনিয়ন পরিষদ গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন। অন্যদিকে সমানভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে গণসংযোগ চালিয়ে একই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। একইভাবে নিজ নিজ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন সাধারন সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থীরাও। সবাই নিজ নিজ প্রতীকে ভোট দিতে ভোটারদের কাছে অনুরোধ জানান। এদিকে কোন প্রার্থীকেই নিরাশ করছেন না ভোটাররা।
কোটাকোল ইউনিয়নে আ.লীগের মনোনীত নৌকার মাঝি হাচান আল মামুদ নবধারা কে বলেন , বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমি নির্বাচিত হতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করব। ইউনিয়ন আ.লীগকে সংগঠিত করাসহ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব।
৬ নম্বর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম কালু (আনারস প্রতীক) বলেন, জনগণের ইচ্ছাতেই নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছি। এবারও জনগণের ইচ্ছাতেই প্রার্থী হয়েছি। আশা করি জনগণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাকে জয় করবে। উল্লেখ্য, আগামী ২৬ ডিসেম্বর রোববার লোহাগড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫৮ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪০৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৪৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১২টি ইউপিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৫ হাজার ৯০৯ জন ও মহিলা ভোটার ৮৫ হাজার ৭৮৮ জন। ভোটকেন্দ্র ১১৬ টি, ভোটকক্ষ ৪৫৭ টি।