শফিকুল ইসলাম সাফা চিতলমারীঃ
বাগেরহাটের চিতলমারীতে ভাষা শহীদদের স্মৃতিরক্ষার জন্য বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। অন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালনই করা হয় না।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ১১১টি প্রথমিক ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি কলেজ ও ৭টি মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলিতে শহীদ মিনার থাকলেও ১শ ১১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ২৭টি বিদ্যালয় শহীদ মিনার আছে, ৮৪টিতে কোন শহীদ মিনার নেই।এছাড়াও উপজেলায় ৩ টি ডিগ্রী মাদ্রসা, ১টি আলিম ও ৩টি দাখিল মাদ্রাসার একটিতেও ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কোন শহীদ মিনার নেই।ফলে, একুশে ফেব্রুয়ারি অন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না। সারা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিনটি পালনের নির্দেশনা থাকলেও এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কলাগাছ, কাপড় ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে পালন করে দিবসটি।
উপজেলার গোড়া নালুয়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন নবধারাকে বলেন, তার স্কুলে শহীদ মিনার নেই একথা সত্য তবে স্কুলের নতুন ভবনের নির্মান কাজ চলছে। ভবনের কাজ শেষ হলেই আমরা শহীদ মিনার নির্মান করবো।
এ ব্যাপরে শৈলাদাহ বাকপুর কারামতিয়া ফাজিল ( ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: মিজানুর রহমান জানান, ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আমরা শহীদ মিনার নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছি, এটা খুব দরকার শিগ্রই ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা জানাতে মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নির্মান করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল নবধারাকে বলেন, ভাষা শহীদদেও স্মৃতিরক্ষার জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানের জন্য প্রস্থাব দিয়েছি। অর্থ বরাদ্দ পেলে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেই সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মান করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.