মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ১০ নং পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য শরীফ আফতাব উদ্দিন পিন্টু’র বিরুদ্ধে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ড বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সাহায্য পেয়েও টিসিবি’র কার্ড পায়নি বলে মৌখিক অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিকেলে সরেজমিনে গেলে তারা এ অভিযোগ জানান। আফতাবউদ্দিন পহওডাঙ্গা শরীফ পাড়া গ্রামের মৃত আঃ রাজ্জাক শরীফের ছেলে।
ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, কালিয়া উপজেলায় মোট টিসিবির কার্ড সংখ্যা ১৪ হাজারের কিছু বেশি। এর ভিতর পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ শত প্লাস কার্ড বরাদ্দ পেতে পারে এবং দুই ধাপে তাদের পণ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সাহায্য যারা পেয়েছে তারাই টিসিবির কার্ড পাবে বলে জানা যায়। সারা দেশে ১ কোটি দরিদ্র পরিবারকে স্বল্পমূল্যে খাদ্যপণ্য ক্রয়ের সুবিধার্থে এবং রমজানে পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে টিসিবি পণ্য বিতরণ কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে।
ভুক্তভোগী পহরডাঙ্গা গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কবির হোসেন ও আনিস সিকদার বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সাহায্য ২৫০০ টাকা পেলেও টিসিবির কার্ড আমাদের দেওয়া হয়নি। কোন কোন পরিবারে ২/৩ জনকেও টিসিবির কার্ড দেওয়া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এমনকি যারা কার্ড পাওয়ার উপযোগী তাদের না দিয়ে মেম্বার তার পছন্দমতো লোক ও আত্মীয় স্বজনদের টিসিবির কার্ড দিচ্ছেন। ভোট না দেওয়ায় মেম্বার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বঞ্চিত করছেন বলে তারা জানান।
এছাড়া ও টিসিবির কার্ডের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে জুয়েল সিকদার, বিধবা হালি বেগম, এয়াকুব শেখ সহ অসংখ্য হতদরীদ্র মানুষ। অপরদিকে করোনা কালিন মানবিক সহায়তা না পেয়েও টিসিবির কার্ড পেয়েছে ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত আক্কাস শেখের ছেলে মোঃ নিয়মত শেখ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য শরীফ আফতাব উদ্দিন পিন্টু ইউনিয়ন সচিবের ওপর দায় চাপিয়ে বলেন, আমার মেরুদন্ডের অপারেশন করানোয় দুই মাস বাহিরে যেতে নিষেধ করেছে ডাক্তার। যা করার সচিব করেছেন, এ ব্যপারে আমি কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খন্দকার আজাহার বলেন, তালিকা থেকে ১২৩ টি নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা সম্বলিত একটি চিঠি ইউএনও অফিস থেকে আসলে চেয়ারম্যান প্রতিটি ওয়ার্ড সদস্যকে ৮/১০ টি নাম বাদ দেয়ার জন্য বলেন। সে মোতাবেক ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য পিন্টুকেও তালিকা থেকে ৮ টি নাম বাদ দেয়ার জন্য বলা হয়। এখন কাকে বাদ দিছে বা কাকে কার্ড দিছে এ বিষয়ে পিন্টুই বলতে পারবে।
কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, তালিকা থেকে কিছু নাম বাদ যাবে এবং কিছু নাম অর্ন্তভূক্তি হবে তাই অতিরিক্ত ৩৪ টি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনিয়ম বা স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

