তৌহিদুল ইসলাম জিসান, নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের নাজিরপুরে মধ্যজয়পুর গ্রামে ৮ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে, এহেন ঘটনায় ৫ মে বৃহস্পতিবার শিশুর মা শিবানী মজুমদার বাদী হয়ে নাজিরপুর থানায় ধর্ষক তারক মজুমদার(৩৫)নামের এক যুবককে আসামী করে মামলা করেছে।অভিযুক্ত তারক মজুমদার উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের মধ্যজয়পুর গ্রামের বিমল মজুমদারের ছেলে।
সরেজমিন ঘুরে মেয়ের কাকা হিরামন মজুমদারের সাথে কথা বলে,জানা যায় বৃহস্পতিবার বেলা ১ টায় ওই মেয়ে বাড়ির পার্শ্বেই এক আত্মীয়ের বাড়ীতে মহোৎসবে গিয়ে অন্যান্য শিশুদের সাথে বাড়ির সামনে খেলাধুলা করছিল,এ সময় অভিযুক্ত ধর্ষক তাকে লিচু খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যায়।পরে ধর্ষকের শ্বাশুরী বকুল রানী মজুমদারের বসতঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে।শিশুটি ডাক চিৎকার দিলে ধর্ষক তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।এই ঘটনা শুনে শিশুটির মা শিশুটির কাছে গিয়ে দেখতে পায় শিশুটি গুরুতর অসুস্থ্য,অসুস্থ্য শিশুকে নিয়ে মা প্রথমে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে চিকিৎসক শিশুটিকে ভর্তি করেন।
এদিকে শিশুটির মা বলেন আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে।ওই ছেলে এর আগেও একটি মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তখন ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা হয়। আমরা গরিব মানুষ আমি এর সঠিক বিচার চাই। নাজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: দ্বীপান্নিতা দেবনাথ জানান,৮ বছরের এক শিশুকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল আমরা তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।আমাদের উপজেলা সদর হাসপাতালে ধর্ষিত শিশুদের পরীক্ষা নিরীক্ষা না থাকার কারণে তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পুলিশের মাধ্যমে প্রেরণ করি।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোঃ হুমায়ুন কবির নবধারা কে বলেন,সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে হাসপাতালে পুলিশ প্রেরণ করি, ভিকটিমের বক্তব্য গ্রহন করে পুলিশের একাধিক টিমের সমন্বয়ে আসামীকে প্রেফতার করার অভিযান অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ ধারায় একটি মামলা রুজু হয়েছে,শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।