নবধারা প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার সিলনা গ্রাম এখন উচ্ছে গ্রাম নামেই পরিচিতি পেয়েছে। এই গ্রামে ঢুকলেই মাঠের পর মাঠ চোখে পড়বে উচ্ছের ক্ষেত। ‘উচ্ছে গ্রাম’ নামের সার্থকতাও যেন মেলে এই বিস্তৃত উচ্ছে ক্ষেতেই। শুধু ‘সিলনা গ্রাম’ নয় গোপালগঞ্জের পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন উচ্ছে চাষ করছে কৃষকরা। এদিকে এ এলাকার উচ্ছে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। আর দাম ভালো পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।সৃষ্টি হচ্ছে ব্যপক সবজী চাষাবাদের সম্ভাবনা।
করলা, উস্তো, উচ্ছে সুপরিচিত এই সবজিটি বিভিন্ন নামেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিচিত। গোপালগঞ্জ এলাকায় এক নামে সবাই একে উচ্ছে বলেই ডাকে। আর এই উচ্ছের চাষ করেই জেলার সদর উপজেলার সিলনা গ্রাম পরিচিত হয়ে উঠেছে ‘উচ্ছে গ্রাম’ নামে। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সবুজ পাতা আর হলদে ফুলের মাঝে জড়িয়ে আছে বোল্ডার, বেগ্রী, মেস্কি ও স্থানীয় উন্নত জাতের উচ্ছে। শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে উচ্ছে সংগ্রহের কাজ করেন। ফলন ভালো পেয়ে দিন দিন উচ্ছে আবাদের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে সদর উপজেলার সিলনা সহ জেলার পাঁচ উপজেলার কৃষকদের। বাজারে প্রতি কেজি উচ্ছে কৃষকেরা ৬০ থেকে ৭০ টাকা পাইকেরী দরে বিক্রি করছেন। আর খুচরা দোকানিরা বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা।
কৃষক বিভাষ দাস বলেন,এবার উচ্ছের ফলন ভালো হয়েছে।দাম ও পেয়েছি ভালো তাই ভালো দাম পেয়ে আমরা খুশি । আশা করি আগামীতেও এ এলাকায় উচ্ছের চাষ আরো বাড়বে ।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-এর উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় নবধারা কে বলেন, সদর উপজেলার সিলনা গ্রামে প্রতি বছরই কৃষকেরা তাদের জমিতে উচ্ছে চাষ করে থাকেন। এ গ্রামে উচ্ছের চাষ দিন দিন বাড়ছে। প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা পেলে শুধু সিলনা গ্রামেই নয় জেলার অন্যান্য গ্রামের কৃষকেরাও উচ্ছে চাষ করে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারবে।