গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(বশেমুরবিপ্রবি) মেডিকেল সেন্টারে সেবার মানে এসেছে পরিবর্তন। উন্নত চিকিৎসাসহ নিয়মিত ডাক্তারের সেবা পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং জরুরি এম্বুলেন্স সেবা প্রদানে উন্নত হয়েছে মেডিকেল সেন্টার। ফলে সহজেই যেকোন ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসা সহ ঔষধের সেবা পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত একমাত্র মেডিকেল সেন্টার থেকে পূর্বের থেকে উন্নত সেবা মিলছে। এতে একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সহজেই যেকোনো ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছে। এছাড়াও ২৪ ঘন্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্স সেবা মিলছে শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিসংখ্যান বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাইমুন হাসান রাব্বী জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে আশানুরূপ সেবা পাইনি। তবে, বর্তমানে মেডিকেল সেন্টারে সর্বদা চিকিৎসক রয়েছেন।তাছাড়া জরুরি ঔষধ সেবা পাওয়াতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে গিয়েছে।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক রোকাইয়া আলম (জেসি) বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক ফোরামকে জানান, বর্তমানে দুইজন নিয়মিত চিকিৎসক সহ একজন চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক রয়েছেন। এছাড়াও সিনিয়র নার্স রয়েছেন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ব্যবহার করে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে থাকেন। এসময় তিনি আরও জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত ঔষধের ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই আরও জরুরি ঔষধ সেবা যুক্ত হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দ্রুতই আরও কয়েকজন চিকিৎসক নিয়োগ সম্পূর্ণ হবে।এছাড়াও আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা অধিকরণ হলে বৃহৎ আকারে মেডিকেল সেন্টার সহ ল্যাব স্থাপিত হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.