সবিতা রায়, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আজ ২৩ মার্চ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক চিত্তরঞ্জন সুতারের আজ ৯৩ তম শুভ জন্মদিন। তিনি ১৯২৮ সালে আজকের দিনে পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি থানার ব্যাসকাঠি গ্রামে সম্ভ্রান্ত সুতার পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা ললিত কুমার সুতার, মাতা বেলকা সুন্দরীর যোগ্য পুত্র ছিলেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি মঞ্জুশ্রী সেনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন,মঞ্জুশ্রী সেন ছিলেন বাটনাতলা গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। একমাত্র ছেলে বাপ্পি সুতার এখন কলকাতার ভবানীপুরে বসবাস করছেন। চিত্তরঞ্জন সুতার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর ছিলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের পরামর্শক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন।
রাজনীতির কারনে বার বার কারাবরন করেছেন। কারাগারের রোজনামচায় বঙ্গবন্ধু বার বার চিত্তরঞ্জন সুতারের কথা উল্লেখ করেছেন।জেল খানায় তারা দুজন পাশাপাশি সেলে থেকেছেন, গোপনে দুজনের যোগাযোগ হতো টের পেয়ে জেল কতৃপক্ষ তাদের দুজনকে আলাদা সেলে রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন। অনেক অত্যাচার জুলুম সহ্য করেছেন জেল খানায়।
১৯৬৯ সালে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়ার আগে চিত্তরঞ্জন সুতার শিডিউল কাস্ট ফেডারেশন নামে একটি সংগঠন করতেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের সময় পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সসদ্য নির্বাচিত হন। তিনি বাকশালের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মনোনিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
১৯৭৫ সালের পর তিনি কলকাতার ভবানীপুরে সানি ভিলায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। ২০০২ সালে ২৭ নভেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক মিটিং এ বক্তব্য রাখার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন,ওখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি শিশুদের খুব স্নেহ করতেন।
আজ এই পুরোধা রাজনীতিবিদের জন্মদিনে নবধারা পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।