প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৮, ২০২৫, ২:২২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২২, ২০২২, ৬:৪৯ পি.এম
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুমকিতে ভগ্নিপতির বাড়িতে বেড়াতে আসা যুবক খুন

পটুয়াখালীর দুমকিতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ভগ্নিপতির বাড়িতে বেড়াতে এসে মামুন (৩২) নামের এক যুবক খুন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পাংগাশিয়া গ্রামে এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত ৪জনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে খালেক হাওলাদার, মতলেব হাওলাদার গংদের সাথে একই এলাকার সোবাহান হাওলাদারের ছেলে বশার হাওলাদারগংদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন বিকেলে বশার হাওলাদারের শ্যালক মামুন গাজী (৩২) ভগ্নিপতির বাড়িতে বেড়াতে এসে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধে জড়ায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ খালেক হাওলাদারের ছেলে রনি (২০) ও মতলেব হাওলাদারের ছেলে রাহাত(২৫) তরকা তোর্কিতে মামুনের উপর হামলায় জখম হয়। আহতের ডাকচিৎকারে স্বজনরা ছুটে এসে মুমুর্ষু অবস্থায় তাকে (মামুন) উদ্ধার করে দ্রুত বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এঘটনায় বশারের পিতা সোবাহান হাওলাদার বাদি হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় মামুন মারা যায়।
মোবাইল ফোনে মামুনের মৃত্যুর খবর পেয়ে থানা পুলিশ শুক্রবার রাতেই এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খালেক হাওলাদার (৫৫), রনি (২০), রাহাত (২৫), সাবানু বেগম (২৭)কে আটক করতে সক্ষম হয়। নিহত মামুন গাজীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার শিয়ালি গ্রামে। তার পিতার নাম আবদুল মতলেব গাজী বলে জানাযায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধৃত আসামীরা দুমকি থানা হাজতে রয়েছে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবদুস সালাম আসামী গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, এঘটনায় নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে। ঢাকা মেডিকেলে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ গ্রামের বাড়িতে আনার অপেক্ষায় আছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.