নবধারা প্রতিনিধিঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে ২৭ই মার্র্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যকারী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর নেলসন ম্যান্ডেলা ও ইয়াসির আরাফাত সহ চার দেশের চার রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে এসে ঢাকায় ধানমন্ডী ৩২ এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় কোন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে এই প্রথম বারের মতো বঙ্গবন্ধুর সমাধীতে শ্রদ্ধা জানাবেন । এটা ইতিহাসের মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা । তাকে বরন করে নিতে অধির আগ্রহে দিন গুনেছেন তারা।
২৫ মার্চ প্রেরিত জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-০১ মোহাম্মদ শামীম মুসফিক স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় জানান, সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে গণভবন থেকে রওনা হয়ে সকাল ৯টায় বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া হেলিপ্যাডে অবতরণ করে ১০টা ৪৫ মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভ্যর্থনা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকশ দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করবেন।
১০টা ৫০ মিনেটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পন করে গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স পরিদর্শন করবেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী গাছের চারা রোপন করার সময় তিনি সাথে থাকবেন।বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকাপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন।
অন্যদিকে, বেলা ১১ টা ২৫ মিনেট নরেন্দ্র মোদী টুঙ্গিপাড়া থেকে কাশিয়ানীর ওড়াকান্দির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন এবং ১১টা ৩৫ মিনিটে মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান হরিচাঁদের ঠাকুরের বাড়িতে পৌঁছাবেন। এরপর তিনি সেখানে পূঁজা আর্চনা করবেন।পরে তিনি ঠাকুর বাড়ীর সদস্য ও মঁতুয়া নেতাদের সাথে মত বিনিময় করবেন।পরে তিনি বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে নরেন্দ্র মোদী হেলিকপ্টার যোগে কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়ী ত্যাগ করবেন বলে জানাগেছে।
তাদের আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়াকে সাজানো হয়ছে বর্নিল সাজে। পুরো সমাধী কমপ্লেক্সে ও টুঙ্গিপাড়ার গুরুত্বপূর্ন ভবনে করা হযেছে বর্নিল আলোক সজ্জা। পথে পথে মোদীকে সম্মান ও শুভেচ্ছা জানিযে করা হয়েছে ব্যনার ও ফেস্টুন।
৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট স্বাধীনতার এই মহা-নায়ককে স্ব-পরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধীরা । ৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাইরের রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি লেনশন ম্যান্ডেলা ও ইয়াসির আরাফাতসহ চার দেশের চার রাষ্ট্রপতি প্রথম বারের মতো ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
এবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বাষির্কী ও স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যকারী, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার স্ব-পক্ষে বিশ্বমত গড়ে তোলা বন্ধু প্রতিম দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল শেখ বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় আগমন করবেন এজন্য আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তাকে বরণ করে নিতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। নরেন্দ্র মোদি কে বরণ করে নিতে পুরো উপজেলায় আমরা ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করেছি।
জেলা প্রসাশক সাহিদা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে গোপালগঞ্জে আসবেন ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান নরেন্দ্র মোদী। এটি একটি ঐতিহাসিক সফর আমাদের জন্য।ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে আমরা পূর্ন প্রস্তুত রয়েছি।