গোলাম মাসুদ হিলালী লরেন্স। ঢাকা সিটি কলেজ থেকে বি কম পাস করেন ১৯৯০ সালে। ১৯৯৪ সাল থেকে দু বছর কত্থক নাচ শেখেন উস্তাদ জীনাৎ জাহানের কাছে, কত্থকে নটবরী। জীনাৎ জাহান আপা অসম্ভব গুণী একজন নৃত্য শিল্পী ছিলেন। জীনাৎ আপার সাথে আমার অনেক স্মৃতি আছে এই অল্প কথায় তা লিখে শেষ করা যাবে না। উনি একজন প্রথম সারির শুদ্ধ উচ্চাঙ্গ নৃত্যগুরু বাংলাদেশের। তাঁর অনেক শিষ্য এখন সুনামের সাথে দেশে ও বিদেশে নৃত্য করছেন।
উচ্চাঙ্গ নৃত্যর গুরু জিনাৎ জাহান কলকাতা থেকে এসে বাংলাদেশ এ থাকতে শুরু করেন। বলা যায় তিনিই প্রথম দিকের একজন নৃত্য প্রশিক্ষক যিনি একাধারে বুলবুল ললিতকলা একাডেমী (মতিঝিল শাখা) , বাংলাদেশ শিশু একাডেমীসহ তাঁর বাড়ীতে উচ্চাঙ্গ নৃত্যর প্রশিক্ষন দিতেন। তাঁকে বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পীরা প্রায় ভুলেই গিয়েছেন তাই তাঁকে স্বরণ করার জন্য তাঁর দুজন শিষ্যর সাথে কথা বলে সবাই কে একটু মনে করিয়ে দিতে চাই। তাঁর মত এত বড় মাপের গুরু কে নিয়ে পরে আরো আলোচনা করবো।
গুরু জিনাৎ জাহান এর অন্যতম একজন শিষ্য মোহাম্মদ দ্বীপ লন্ডন এ বসবাস করেন। তিনি তাঁকে স্বরন করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, উচ্চাঙ্গ নৃত্য যে একটি বেসিক নৃত্য তা কখনই বুঝতাম না যদি তাঁর সান্নিধ্য না আসতাম। আমি বুলবুল ললিতকলার ছাএ ছিলাম ও মতিঝিল শাখার ও পরে ওয়াইজঘাট শাখায় নৃত্য শিক্ষা গ্রহন করি। জিনাৎ জাহান এর কাছে আমার উচ্চাঙ্গ নৃত্যর হাতে খরি। মোট তিন বৎসর তাঁর কাছে উচ্চাঙ্গ নৃত্যর উপর তালিম নিয়েছি।তিনি যেহেতু শুদ্ধ উচ্চাঙ্গ নৃত্য শিখাতেন তাই আমি ইন্ডিয়াতে গিয়ে নৃত্য শিক্ষা গ্রহন করার প্রয়োজন বোধ করি নাই। তাঁর সান্নিধ্য পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। তাঁর অবদানের কথা বলে শেষ করতে পারবো না। আমি ও লরেন্স হিলালী তাঁর সরাসরি ছাত্র ছিলাম তাই আজও লরেন্স ও আমি খুব ভাল বন্ধু ।আমি লন্ডনে আমার নদী মিউজিক ও ড্যান্স মিডিয়া নিয়ে খুব ব্যস্ত এবং লরেন্স সিরাজগঞ্জ শিল্পকলার প্রশিক্ষক হিসেবে খুবই ব্যস্ত । তবে আমাদের দুজনরই ইচ্ছা আছে তাঁর নামে একটা পদক দেওয়ার ।
পরিশেষে প্রয়াত গুরু জিনাৎ জাহানের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.