পটুয়াখালীর দুমকিতে পায়রা নদীর ভাঙ্গনে ৩শ’মিটার ওয়াপদা বেরিবাঁধসহ বিশাল এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।গত কয়েকদিনে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চান্দখালী এলাকায় পায়রা নদীতে অন্ততঃ ৩শ’ মিটার বেরিবাঁধসহ বিশাল এলাকা আকস্মিক দেবে বিলীন হয়ে গেছে।
পায়রা নদীতে সাম্প্রতিক কয়েকটি ড্রেজার ও বলগেটে অবাধে বালু কেটে নেয়া আকস্মিক ভাঙ্গণের কারণ বলে ধারণা স্থানীয়দের। চান্দখালীর বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার জানান, তার মেঝেতে ফাটল বসতঘর ও পাকেরঘর ভাংগনের কবলে চরম হুমকিতে রয়েছে। বেরিবাঁধসহ বিশাল এলাকা নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ার পরে নতুন করে তার বাড়ির অর্ধেকাংশজুড়ে বিরাট ফাঁটল দেখা দেয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
একই বাড়ির বাসিন্দা সানু হাওলাদার জানান, তার পাকেরঘর ও গোয়াল ঘরসহ বিশাল অংশজুড়ে ফাঁটল ধরায় তিনি তার বসত:ঘর ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। পায়রা নদীর আকস্মিক ভাংগনে চরম হুমকির মুখে থাকা চান্দখালী অন্তত: অর্ধশতাধিক পরিবার তাদের ভিটিবাড়ি হারানোর শংকায় দিন কাটাচ্ছেন। সরেজমিন পরিদর্শণে গিয়ে দেখাযায়, পরিবারগুলোর নারী-পুরুষ শিশুসহ সবার চোখে-মুখে আতংকের চিহ্ন। ভিটি বাড়ি হারানোর আতংকে ভুগছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন যাবৎ একটি প্রভাবশালী চক্র কয়েকটি ড্রেজার ও বলগেট লাগিয়ে ওই এলাকার পায়রা নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করায় ভাংগন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন অন্তত: ৩০/৩৫টি ড্রেজার মেশিন ও বলগেটে বালু কাটার ফলে ভাংগনের কবলে পড়েছেন পায়রা পাড়ের অসহায় মানুষ। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এড. গাজী মো. নজরুল ইসলাম বেরিবাঁধে ভাঙ্গনের সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, তীরবর্তি লোকজনকে দ্রুত নিকট দুরত্বে সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সাথে বালু উত্তোলন বন্ধে ড্রেজার কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
ড্রেজার মালিক আবুল কালাম আজাদ (কালাম মৃধা)’র মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড’র তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ কাইছার আলম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।