কোটালীপাড়া প্রতিনিধি:
সারাদেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাস্ক বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন জ্ঞানের আলো পাঠাগার। একই সঙ্গে সংগঠনটির পক্ষ থেকে মাইকিং করে স্বাস্থ্যবিধি সর্ম্পকে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার তারাশী গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে মাস্ক বিতরণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সভাপতি সুশান্ত মন্ডল। মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে হ্যান্ড মাইকযোগে করোনা ভাইরাসের সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালায় সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবকেরা। এছাড়া কোটালীপাড়া-গোপালগঞ্জ সড়কের তারাশী ব্রীজে ভ্যানচালক, পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ৫ শতাধিক মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করে জ্ঞানের আলো পাঠাগার। জানা যায়, গত বছর উপজেলায় করোনার সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর থেকে করোনা ভাইরাস রোধে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে জ্ঞানের আলো পাঠাগার। উপজেলায় করোনা ভাইরাসা রোধে বাড়ি-বাড়ি, হাট-বাজার, রাস্তাঘাটসহ সর্বত্র জণসাধারনের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক, লিফলেট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, রাস্তাঘাটে পথচারীদের মাঝে হাত ধোয়া, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সামাজিক দূরত্ব চিহ্ন নির্ণয়, স্বাস্থ্যবিধি সচেতনতায় মাইকিংসহ নানা কার্যক্রম করে আসছে জ্ঞানের আলো পাঠাগারের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক।
এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা ভাইরাসরোধে বিভিন্ন কার্যক্রমে স্বেচ্ছসেবক হিসেবে কাজ করে আসছে জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সদস্যরা। তারাশী গ্রামের গৃহিনী জায়েদা, জামিলা, স্বপ্না বেগম বলেন, জ্ঞানের আলো পাঠাগার যে কোন বিপদে আপদে পাশে দাড়ায়। করোনা প্রতিরোধে আজ এই সংগঠনটির সদস্যরা বাড়িতে এসে মাস্ক দিয়ে গেছে এবং করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক বিভিন্ন বিষয়ও জানতে পারি এদের কাছ থেকে। ষাটার্ধো পথচারী আজাহার মিয়া বলেন, বাড়িতে মাস্ক না থাকায় মাস্ক ছাড়াই বাজারে যাচ্ছিলাম। জ্ঞানের আলো পাঠগারের সদস্যরা পথে মাস্ক পড়িয়ে দেওয়ায় অনেকটা স্বস্তিপাচ্ছি।
জ্ঞানের আলো পাঠাগারের প্রেসিডিয়াম সদস্য আজিজুল ইসলাম বলেন, আমরা মনে করি, মাস্ক পরিধানে করোনা অনেকাংশে প্রতিরোধ সম্ভব। সেই লক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি ও রাস্তাঘাটে সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ করছি। কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, জ্ঞানের আলো পাঠাগার আলোকিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।সংগঠনটির সদস্যরা সবসময় সামাজিক সচেতনতায় কাজ করে। করোনা সচেতনতায় কাজ করতে গিয়ে সংগঠনটির সভাপতিসহ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়। সুস্থ হয়ে তারা আবার উপজেলার জনসাধরনের মাঝে বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পাঠাগারটির এহেন কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।