পটুয়াখালীর দুমকিতে মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্য ভাঙ্গার অভিযোগে শরিয়তুল্লাহ (২০) নামের এক দুর্বৃত্তকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এব্যাপারে আটককৃত যুবকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দায়ের হয়েছে। আটককৃত যুবককে নিয়ে এবার বেড়িয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
আটককৃত যুবক বিগত দিনে ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তার ফেসবুক আইডিতে ছাত্রলীগের সকল আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রামসহ উপজেলা ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে রয়েছে একাধিক ছবি । যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনা । একজন ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে কিভাবে এমন কাজ করেন তা কারও বোধগম্য নয়। তবে ছাত্রলীগ বলছেন ছেলেটা আগে আমাদের মিছিল মিটিংয়ে আসতো কিন্তু ইদানিং সে জামায়াত শিবিরে যোগদান করে এই কাজ করেছেন।
আরিফ হোসেন আরাফাত নামের একজন তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে লিখেন, হুজুরে তাদের আব্বোর মূর্তিটা ঠিকই রেখে দিল।
এলাকারই ছোটভাই,ছাত্রলীগের রাজনীতি করে।হঠাৎ করে পরশু দিন উপজেলা চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের তৈরিকৃত ভাস্কর্য রাতের আঁধারে মাথা কেটে পালানোর সময় আনসার ও স্থানীয়দের হাতে আটক হয়,পরে দেখি তিনি হুজুরের লেবাস ধরা। ছেলেটা চাচ্ছিল হুজুর সেজে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যের মাথা কেটে দুমকির বিএনপি,জামাত সহ আলেমদের বিপদে ফেলবে,কিন্তু সেটা আর হলোনা,ওরে এখন রিমান্ডে নিয়ে জানতে হবে ওর এই নিল নকশার পিছনে কারাকারা জড়িত আছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সবুজ সিকদার ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে বলেন, একসময় আমাদের মিছিল মিটিংয়ে থাকত তবে কয়েকমাস ধরে আমদের কোন প্রোগ্রামে আসেনা হয়তো জামায়াত শিবিরে যোগ দিয়ে এমন কাজ করেছে।মামলার বাদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ গোলাম মর্তুজা বলেন, ছাত্রলীগ করে কিনা তা আমি জানি না তবে মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আসল ঘটনা বলতে পারবে।
দুমকি থানা ওসি তদন্ত মাহাবুবুর রহমান বলেন, আসামি তার নিজের মুখেই দায় স্বীকার করেছে এবং কোর্টে আমরা রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছি রিমান্ড পেলে এর সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা যানা যাবে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুমকি উপজেলা কমপ্লেক্সের জয়বাংলা চত্ত্বরে জেলা পরিষদের অর্থায়ণে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভাস্কর্যের ওপরে উঠে মাথার অংশ ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় শব্দ শুনে উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা কর্মী ও কোয়ার্টারের কর্মকর্তা -কর্মচারীরা পালানোকালে হাতে নাতে তাকে আটক করতে সক্ষম হন। ধৃত যুবকের গ্রামের বাড়ি উপজেলার দুমকি মাদ্রাসা ব্রিজ এলাকায়। তার পিতার নাম মিজানুর রহমান মৃধা বলে জানা য়ায়।