শফিকুল ইসলাম সাফা, চিতলমারীঃ
বাগেরহাটের চিতলমারীর ৭ টি ইউনিয়নে হিটশকে ২শ হেক্টর জমির ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বাস্তবে ক্ষতির পরিমান এর দ্বিগুণ বলে দাবি করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমি পরিদর্শন করেছেন চিতলমারী উপজেলা নির্বাহি অফিসার।
গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় হঠাৎ করে ঝড়ো গরম বাতাসে কৃষকদের ক্ষেতে ধানের শিষ শুকিয়ে গেছে। ধানের এমন ক্ষতিতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। দূর থেকে ধান গাছগুলো স্বাভাবিক মনে হলেও শিষে থাকা ধান গুলো চিটে হয়ে গেছে। অনেক ক্ষেতের ধান গাছের পাতা পুড়ে গেছে। বাতাসের তোড়ে কিছু কিছু ক্ষেতের ধান মাটির সাথে মিশে গেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে ধারদেনা করা টাকায় ফসলের এমন ক্ষতিতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক।
শুক্রবার উপজেলার শ্রীরামপুর বিলে সরেজমিনে বোরো ধানের জমিতে গেলে দেখা যায় শুধু মাঠ ভরা ধান। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখা গেল মাঠ ভরা ধানে শীষ গুলো শুকিয়ে গেছে।
কৃষক রত্না বৈরাগী, সাথী মন্ডল, রনজিত কুমার বলেন, খুব আশা করে ধান রোপণ করে ছিলাম। এক মাসের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলবো বলে ভাবছিলাম। এখন ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পাছিনা। ঝড়ের পরের দিন জমিতে এসে দেখি ধানের শিষ শুকিয়ে সব চিটা হয়ে গেছে।
চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন নবধারা কে বলেন, আমাদের এলাকার মানুষের জীবন জীবিকা ধান ও সবজির উপর। করোনার কারনে এমনিতেই মানুষ নানা সংকটে রয়েছে। এরমধ্যে হঠাৎ ঝড়ে অনেক কৃষকের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সরকারের সহায়তা খুবই জরুরি।
চিতলমারী উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা ঋতু রাজ সরকার নবধারা কে বলেন, চিতলমারী উপজেলায় ১১হাজার ৭০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে হিটশকে ২শ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কৃষকদের দাবি ক্ষতির পরিমান দ্বিগুণ হবে। আমরা চাষিদের পরিমিত সেচ ও যৌক্তিক পটাশ সারের স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছি।
নবধারা/বিএস