তাওহিদুল ইসলাম(জিসান) নাজিরপুর প্রতিনিধিঃ
আজ মঙ্গলবার পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সদরে কোচিং সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকত। এ সময় প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে নাজিরপুর সদর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষক দেবব্রত বিশ্বাসের বাসার একটি কক্ষে দশম শ্রেীনর একটি ব্যাচে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থীকে একত্রে প্রাইভেট পড়াতে ছিলো।এছাড়া ওই বিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক নিত্যানন্দ মন্ডল নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক ব্যিালয়ের সামনে ভাড়া বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর সময় তাদের উভয়কে পৃথক পৃথক ভাবে ১০০০ ও ৩০০০ টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করে ভ্রামম্যাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকত।
ওই কোচিংয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ও অনেকের মুখে মাস্ক ছিলো না।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল হক বলেন, মহান ও নিবেদিত পেশা হিসেবে শিক্ষকতা সর্বজন স্বীকৃত। এমন কোন পেশা নেই যা সম্মানের দিক থেকে শিক্ষকতার সমান হতে পারে।মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবেই মনে করা হয় শিক্ষকদের।শিক্ষা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার ও জাতীয় উন্নয়নের মাপকাঠি। কিন্তু কিছু কোচিংবাজ, প্রাইভেটবাজ শিক্ষকদের কারণে শিক্ষক সমাজ আজ প্রশ্নবৃদ্ধ। ৮০/৮৫ ভাগ শিক্ষক যদি সরকার প্রদত্ত বেতনভাতায় চলতে পারে তবে ১৫/২০ শিক্ষক কেন চলতে পারেন না, তাদের সরকারী নির্দেশ মানতে সমস্যা কোথায়?
এ ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন,শিক্ষকদের আমরা মর্যাদা দেই যার কারণে ইউএনও স্যারের আইডি থেকে তাদেরকে শতর্ক করার জন্য পোষ্ট দিয়েছিলেন।কিন্তু সরকার নির্দেশিত আইন অমান্য করায় মহামারী করোনার সময় প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টি কোন ভাবেই বরদাজ করব না। কেউ যদি প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য করে এ ব্যাপারে আমাদের কাছে আরো অভিযোগ আসলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।