আজ (রবিবার) মধ্য রাত থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দেশেরস র্ববৃহৎ পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। ডলার সংকটের কারনে কয়লার দাম দিতে না পারায় ২৫মে থেকে বন্ধ রয়েছে এর প্রথম ইউনিট।
লোডের উপর নির্ভর করে আজ মধ্য রাতের যেকোন সময় বন্ধ হতে পারে দ্বিতীয় ইউনিট। এরফলে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হবে ১ হাজার ৩২০ মেঘাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের।এতে দক্ষিনাঞ্চলসহ সমগ্র দেশে পড়তে পারে বড় ধরনের লোডশেন্ডিংয়ের কবলে।
চীনরে রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড
এক্সপোর্ট কোম্পানী (সিএমসি) এবং বাংলাদশেরে নর্থওয়স্টে পাওয়ার জেনারশেন কোম্পানী লিমিটিডেরে যৌথ বিনিয়োগে ১ হাজার ৩২০ মেঘায়োট ক্ষমতা সম্পন্ন দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ কয়লা ভিত্তিক তাপবদ্যিুৎ কেদ্রটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয় ২০২০ সালে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রট নিমান কাজ করে
বাংলাদশে-চায়না পাওয়ার কোম্পানী লিমিটিডে। কেন্দ্রটির পরিচলনার দায়িত্বও রয়েছে বিসিপিসিএল।
পূর্ন সক্ষমতায় এই কেন্দ্রের ২টি ইউনিট চালাতে প্রতিদিন প্রয়োজন ১৩ হাজার
টন কয়লা। শুরু থকেই প্রয়োজনীয় এ কয়লা ক্রয়ে ঋণ দিচ্ছে কেন্দ্রচির চীনা
অংশীদারী প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানী (সিএমসি)। প্রতি ছয় মাস পরপর কয়লার পাওনা টাকা আদায় করে চায়নার
এই কোম্পানী সিএমসি । কিন্তু ডলার সংকটে এপ্রলি মাস পর্যন্ত কয়লা আমদানীর বকেয়া বিল রয়েছে প্রায় ৩৯০মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা)। এই বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা ক্রয়ের জন্য টাকা দিচ্ছেনা। ফলে কয়লা সংকটে সাময়িকভাবে বন্ধ হতে যাচ্ছে দেশের বৃহৎ এ বিদ্যুৎ
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।
কেন্দ্রটরি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদশে-চীন পাওয়ার কোম্পানী
লিমিটিডে (বিসিপিসিএিল) কর্তৃপক্ষ জানায়, এরই মধ্য চীনা প্রতষ্ঠিান সিএমসিকে ৮৮ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছ। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বাকী ১২ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ না করা পর্যন্ত কোন টাকা দিকে চীনা প্রতিষ্ঠান সিএমসি। কর্তপক্ষ জানায় নতুন করে কয়লা আমদানীর জন্য সরকার ও বাংলাদশ ব্যাংক ১০০ মিলিয়নি ডলার সংস্থান করে দিয়েছে। এলসি খোলার পর জাহাজ পাঠানো, কয়লা লোড, আসা এবং আনলোড মিলিয়ে কমপক্ষে ২৫ দিন লাগবে। কয়লা চলে আসলে চলতি মাসের (জুন) শেষ সপ্তাহে পুনরায় উৎপাদনে আসবে
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। এতে করে প্রায় তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকছে দেশের এই বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠানটি।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্লান্ট ম্যানেজার শাহ আব্দুল মাওলা বলেন, যে কয়লা মজুদ রয়েছে তাতে ৪ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ইউনিট চলতে পারে। পুরো লোড নিতে থাকলে ৪ জুন রাতের যেকোন সময় কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.