সারাদেশে ব্যাপক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।একই সাথে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর হার। গোপালগঞ্জেও দিনদিন বাড়ছে ডেঙ্গুর রোগীর পরিমাণ। একদিকে ডেঙ্গু আতঙ্ক অন্যদিকে তীব্র মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। মাত্রাতিরিক্ত মশার উপদ্রব, মশা নিরোধন ব্যবস্থা না থাকা ও শহরে দিনদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়ছে এ রোগের আতঙ্ক।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিন গড়িয়ে সন্ধ্যার শুরু হলেই সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মশার ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন, চত্বর, দোকানপাট আর আবাসিক হলগুলোতে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত মশার উৎপাত। মশার উপদ্রবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা থেকে শুরু করে আবাসিক হলে অবস্থান করাও দুর্বিষহ হয়ে পরছে। রাতের পাশাপাশি দিনের বেলায়ও মশার উপদ্রবের কমতি নাই। ইতোমধ্যে মশার কামড়ে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ ফাঁকা জায়গায় ঘন ঝোপঝাড়, জায়গায় জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে থাকা, প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, আবাসিক হলগুলো মাত্রাতিরিক্ত নোংরা, হলের আশপাশের এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানের ড্রেন পরিষ্কার না করা ও বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনার স্তূপে পানি জমে থাকায় মশার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসে মশা নিরোধন ব্যবস্থা থাকলেও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে দিনের পর দিন মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। এতে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের আতঙ্কে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিজয় দিবস হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহমেদ আকাশ বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় বর্ষার পানি জমে মশার পরিমাণ বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কেউই অসুস্থ হয়ে পরতে পারে।
এবিষয়ে গোপালগঞ্জ সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আশিকুজ্জামান বলেন, গত এক মাসের মধ্যে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ১০০ জনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আমাদের কাছে ভর্তি হয়েছেন।এছাড়া দিনদিন এর পরিমাণ বেড়ে চলছে। তবে এবছর এখনও ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
এ নিয়ে কথা হয় স্বাধীনতা দিবস হলের প্রভোস্ট মাহবুব আলমের সাথে। তিনি জানান, আসলে আমাদের হলের পাশে বালি ভরাট করার কারণে বেশ পানি জমে থাকে। আমরা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। আশাকরি দ্রুত পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট কর্মকর্তা সৈয়দ আনিসুস সাদেক বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি । কিছুদিন আগে বন্ধ থাকায় মশা নিরোধক ঔষধ দেওয়া হয়নি দীর্ঘদিন।আমরা দ্রুত মশা নিরোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ ও বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করব।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.