মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার শাসন গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বি আসাদ শেখ’কে হত্যার ঘটনায় মামলার আসামী পক্ষ নিজেদের জমির ধান নিজেরা কেটে নিয়ে উল্টা বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে লুটের অভিযোগ তুলছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার যথাযথ খোঁজ-খবর নিয়ে সত্যতা সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হত্যা মামলার বাদী পক্ষ।
সরেজমিনে গেলে নিহত আসাদ শেখ’র ভাই বাশি শেখ (৮০) ও ভাতিজা ইউপি সদস্য প্রার্থী মোঃ মামুন শেখ (৪৫) সহ অনেকে জানান, জঘন্যতম হত্যাকান্ড আড়াল করতে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা অভিযোগ তুলছে/অপবাদ দিচ্ছে আসামী পক্ষ। তারা এ হত্যাকান্ডের দ্রুত ও যথাযথ বিচার দাবী করে বলেন, বাদী পক্ষ কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা করে নাই এবং ভবিষ্যতেও করবে না। আসামীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে নিজেদের জমির পাকা ধান নির্বিঘ্নে কেটে নিচ্ছেন।
এসময় অ-দুরেই ধান কাটারত জনৈক আসামী সালাহ উদ্দিনের ভগ্নিপতি আমানত জানান, তিনি নির্বিঘ্নে তার আত্মীয়দের জমির পাকা ধান কাটছেন। পাশেই দাড়িয়ে থাকা সালাহ উদ্দিনের বোন মিতু বলেন, তারা নির্বিঘ্নে তাদের জমির ধান/ফসল কাটছেন, এছাড়া হত্যার ৩/৪ দিন পর তাদের এ জমি থেকে একটি স্যালো ম্যাশিন চুরি করেছে বাদী পক্ষ। তবে, নিকটেই তাদের মূল্যবান পান বরজের কোন ক্ষতি হয় নাই।
মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী গোলাম কবীর বলেন, হত্যাকান্ডের পর থেকে ওই এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে পুলিশ, প্রথমদিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার ২নং চুনখোলা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মোঃ মামুন শেখ (তালা) ও কিবরিয়া শরীফ (মোরগ)’র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আসাদ শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়। এসময় দুই পক্ষে নারীসহ অন্তত ২০জন আহত হয়। গত ১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের শাসন গ্রামে এই সংর্ঘষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মাঝে সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসাদ শেখ মারা যায়। নিহতের ঘটনার পরপরই দুই প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ীঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করছে, নির্বাচনী পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।নিহত আসাদ শেখ তালা প্রতিকের সদস্য প্রার্থী মামুন শেখের চাচা।