মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোল্লাহাটের হাড়িদাহ গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুই পক্ষের দফায় দফায় হামলা ও প্রতি-হামলায় কাঁচা-পাঁকা মিলে অন্তত ২০টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার হাড়িদাহ গ্রামে রশিদ ফকিরের দল ও আবেদ মোল্লার দলের মাঝে গত মঙ্গল ও বুধবার দিনে ও রাতে দুই দিনে দফায় দফায় বর্বরোচিত এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদেরকে মোল্লাহাট ও পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ হাসপালে ভর্তি করা হয়েছে। এ উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সরেজমিনে গেলে রশিদ ফকিরের দলের ইমদাদ মোল্লা বলেন, আমাদের পক্ষের ৬টি ঘর ভাংছে আবেদ মোল্লার লোকেরা। আর আমি নিজে নেতৃত্ব দিয়ে এবং নিজ হাতে আবেদ মোল্লার দলের ৯টি বাড়ি-ঘর ভাংছি। ইমদাদ মোল্লা আরো বলেন, এতে মামলা হবে জানি, এসব মামলায় কি হবে ? মামলা হলে দুই পক্ষেরই হবে।
প্রতিপক্ষের আবেদ মোল্লার দলের আঃ মান্নান শেখের মেয়ে সাজেদা আক্তার বলেন, তার পিতা সাইকেলের ব্যাবসা করেন, তাদের বাড়ি ঘর, ফ্রিজ ও আসবাবপত্র ভাংচুরসহ নগদ টাকা ও ২০টি সাইকেলসহ মূল্যবান সবকিছু লুটে নিয়ে গেছে ইমদাদসহ ২০/২৫ জনে।
আবেদ মোল্লার স্ত্রী বলেন, রশিদের দলের ইমদাদের নেতৃত্বে আমাদের বসতী ঘর, বৈদুতিক মিটার ও ফ্রিজসহ যাবতীয় আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুট করেছে।
তিনি আরো বলেন, তার স্বামীকে গত মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে, এরপর গত রাতে ইমদাদসহ ২০/২৫জনে তাদের বাড়িতে আবার হানা দিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করেছে, এমনকি পানির কলও খুলে নিয়ে গেছে। তারা চরম আতংকে আছেন বলেও জানান।
মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কাজী গোলাম কবীর নবধারা কে জানান, এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দলনেতা আবেদ মোল্লাকে আটক করা হয়েছে এবং অন্য পক্ষের লোকদের ও পুলিশ আটকের জন্য চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।